বরিশালের কিছু খবর

গৌরনদী উপজেলা পরিষদ সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে অনুপস্থিত থাকায় চরম ভোগান্তি

সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুপস্থিতির কারণে ক্রমেই স্থবির হয়ে পড়েছে বরিশালের উত্তর জনপদের জনগুরুত্বপূর্ণ গৌরনদী উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন অফিসের কার্যক্রম। উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিতভাবে অফিসে আসেননা বলেও অভিযোগ রয়েছে। যারা আসেন তারাও বিলম্বে এসে অফিস ছুটির আগেই চলে যান। ফলে প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়েছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসী। এ অবস্থা দীর্ঘদিনের হলেও সমাধানের কোন উদ্যোগই নেই।

সরেজমিনে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সোমবার বেলা এগারোটার দিকে গিয়ে দেখা গেছে, নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারীর অফিস তালাবদ্ধ। তার অফিস সহকারীর রুম খোলা থাকলেও কাউকে সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওই দপ্তরে কাউকে না পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রদানকৃত অনুদানের চেক নিতে এসে নিরাশ হয়ে ফিরে গেছেন রহিম খান, মজিবর ফরাজি ও ফরহাদ নামের তিনজন প্রতিবন্ধী।

খবর নিয়ে জানা গেছে নির্বাহী অফিসার মাসুদ হাসান পাটোয়ারী বিশেষ কারণে বরিশালে গেছেন। একইভাবে বন্ধ পাওয়া গেছে উপজেলা চেয়ারম্যান ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অফিস রুম। ওই দপ্তরের কর্মচারীরা জানান, গত ৪ মে থেকে ১৮ মে পর্যন্ত সহকারী কমিশনার তানিয়া আফরোজ ছুঁটিতে রয়েছেন। ফলে প্রতিনিয়ত তার দপ্তরে এসে নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন ভূক্তভোগীরা।

একইভাবে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মিজানুর রহমান, হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা আঃ বারেক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী ফজল আহম্মেদ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহীদ হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খালেদা খানম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মাইনুদ্দীন আহম্মেদ, মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জীব সন্নমত, উপজেলা সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলমসহ যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাদের সকলের স্ব-স্ব রুম ছিলো বন্ধ। অনেক কর্মকর্তার দপ্তর খোলা থাকলেও তাদের চেয়ার-টেবিল ছিলো ফাঁকা। কোন কোন কর্মচারীকে অফিস চলাকালীন সময় অফিসের টেবিলে মাথা রেখে ঘুমাতেও দেখা গেছে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মাইনুদ্দীন আহম্মেদের দপ্তরে গিয়ে দেখা গেছে, ওই দপ্তরের ১২ জন কর্মচারীর মধ্যে একমাত্র চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী জোগেন্দ্রনাথ অফিসে রয়েছেন। বাকী ১১ জন কোথায় রয়েছেন তার কোন উত্তর তিনি দিতে পারেননি। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কার্যালয় ঘুরেও সিংহভাগ কার্যালয় বন্ধ দেখা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, গত ১৭ মার্চ ক্ষমতাসীন দলের দু’গ্রুপের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তপ্তের পর থেকেই শান্ত গৌরনদী অশান্ত হয়ে উঠেছে। উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ওপর প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক নেতা ও তার সহযোগীরা একের পর এক প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছেন। যে কারণে গৌরনদীর আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। এজন্যই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অন্যত্র বদলী হওয়ার জন্য উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ শুরু করেছেন। ফলে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই অফিসে অনুপস্থিত থেকে উচ্চ পর্যায়ে অন্যত্র বদলী হওয়ার জন্য তদবিরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরকারি কাজে কোন কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসের বাইরে থাকতে পারেন। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ অফিসে না আসলে অথবা কাজে গাফিলতি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

বরিশালে দুই’শ কোটি টাকা বহনকারী ভ্যান দুর্ঘটনার কবলে
বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিস থেকে দুই’শ কোটি টাকা নিয়ে রাজধানীর প্রধান কার্যালয়গামী কাভার্ডভ্যান মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে একজন এসআই এবং গাড়ি চালক আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশালের ডিজিএম (ব্যাংকিং) একেএম গোলাম মাওলা জানান, ঢাকার মতিঝিল অফিসের নির্দেশ অনুযায়ী অতিরিক্ত দুই’শ কোটি টাকা নিয়ে সকালে কাভার্ডভ্যানটি রওয়ানা দেয়। চল্লিশ জন স্কট নিয়ে ভাড়া করা কাভার্ডভ্যানটি বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গড়িয়ারপাড় নামক এলাকা অতিক্রমকালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি লোকাল বাসের সাথে ধাক্কা লেগে দূর্ঘটনার স্বীকার হয়। এতে এস.আই তোফাজ্জলে হোসেন ও গাড়ির চালক মো. মন্টু মিয়া আহত হন। পরবর্তীতে বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে ভিন্ন কাভার্ডভ্যানে পুলিশ প্রহরায় টাকাগুলো ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বিমান বন্দর থানার ওসি মো. মতিয়ার রহমান জানান, ধাক্কা দেয়া লোকাল বাসটি আটক করা হলেও চালক পলাতক রয়েছে। তিনি আরো জানান, দূর্ঘটনায় আহত দু’জনকেই শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

বরিশালে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের বিক্ষোভ
টিএসসিসে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ডিএমপি কার্যালয়ে ঘেড়াও করতে গিয়ে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে ডাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট কর্মসূচীর সমর্থনে মঙ্গলবার বেলা সোয়া এগারোটার দিকে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিএম কলেজের জিরো পয়েন্টে এ কর্মসূচী পালন করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। এসময় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। ছাত্রইউনিয়ন বিএম কলেজ শাখার সভাপতি দীপঙ্কর কুন্ডুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের জেলা সভাপতি ডা. মনিষা চক্রবর্তী, জেলা ছাত্রইউনিয়নের সভাপতি শারমিন জাহান পপি, সাধারণ সম্পাদক এবি সিদ্দিক, ছাত্রফ্রন্টের নেতা মো. আল-আমিন প্রমুখ। শেষে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

আগৈলঝাড়ায় স্কুলের ছাত্রদের নিয়ে প্রবাসীর বাড়িতে শিক্ষকের হামলা
পারিবারিক বিরোধের জেরধরে মঙ্গলবার দুপুরে স্কুলের ছাত্রদের নিয়ে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে প্রধান শিক্ষক। এনিয়ে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার পশ্চিম বাগধা গ্রামের।
ওই গ্রামের খ্রীষ্ট্রসম্প্রদায়ের বিমল হালদারের পুত্র ও আমেরিকা প্রবাসী স্বপন হালদার লিটু জানান, তাদের আট শতক সম্পত্তি সেভেন এ্যাডভান্ডটিস মিশন (এসডিএ মিশন) ভোগ দখল করে আসছে। ওই সম্পত্তি দীর্ঘদিন থেকে আত্মসাতের জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে প্রতিবেশী জুরান চন্দ্র শীল। ফলে মিশনের বাউন্ডারী দেয়াল নির্মানের জন্য মঙ্গলবার সকালে তারা স্থানীয়ভাবে মাপঝোপ করে পিলার স্থাপন করেন। এসময় পিলার স্থাপনে বাঁধা প্রদান করে প্রতিবেশী ও বাগধা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুরান চন্দ্র শীলের মা পারুল শীল। তিনি আরো জানান, পিলার স্থাপনের খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষক জুরান চন্দ্র শীল দুপুরে স্কুলের ৩০/৪০ জন ছাত্রদের নিয়ে তাদের (প্রবাসীর) বাড়িতে অর্তকিত ভাবে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। হামলার সময় মিশন স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভয়ে চিৎকার শুরু করে দিকবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে।
সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে ও আমেরিকা প্রবাসী ওই সম্পত্তির মালিক স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক জুরান চন্দ্র শীল বলেন, মিশন স্কুলের বাউন্ডারী দেয়াল নির্মান করা হলে আমাদের বাড়িটি পিছনে পরে যাবে। তাই বাঁধা দেয়া হয়েছে। স্কুলের ছাত্রদের নিয়ে হামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, ছাত্ররা আমার সাথে এসেছে, তবে হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। এ ব্যাপারে থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি মৌখিক ভাবে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরিশালের বোরো চাষীরা দাদনের টাকা পরিশোধে চিন্তিত ধানের দর পতনে দিশাহারা কৃষক
চলতি বছর বোরো চাষীরা জমিতে বাম্পার ফলন পাওয়া সত্বেও একমাত্র বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে প্রান্তিক চাষীরা দাদন ব্যবসায়ী মহাজনদের কাছ থেকে আনা দাদনের ধান ও সুদের টাকা পরিশোধ নিয়ে এখন মহাদুশ্চিন্তায় ভূগছেন।
প্রান্তিক চাষীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, জেলার প্রত্যেকটি উপজেলার বেশিরভাগ প্রান্তিক চাষীরাই স্থানীয় মহাজনদের কাছ থেকে মৌসুমের শুরুতে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে ১ মন ধান ও নগদ ১ হাজার টাকা হারে দাদন নিয়েছেন। পরবর্তীতে চাষীরা বোরো জমিতে অধিক ফলনের আশায় উচ্চমূল্যে বীজ ক্রয় করে বীজতলা তৈরীসহ চাষাবাদ করেছেন। সেচ কাজে জ্বালানী তেলসহ কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির কারণে কৃষকদের গত বছরের তুলনায় এ বছর উৎপাদনে বেশী টাকা গুনতে হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবছর প্রতি মন ধানের উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রায় ৬’শ টাকা। কিন্তু বর্তমানে বাজারে প্রতি মণ বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায়। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যয্য মূল্য না পাওয়ায় দাদন ব্যাবসায়ীদের টাকা ও ধান পরিশোধ করা নিয়ে চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। সূত্রে আরো জানা গেছে, ধানের বাজার মূল্য কম হওয়ায় জেলার সর্বত্র ধান কাটা শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। একদিকে ধানের বাজার মূল্য কম অন্যদিকে শ্রমিক সংকট ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারনে উঠতি পাকা ফসল ঘরে তুলতে না পেরে চাষীরা আরো হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারী সহায়তা, সহজ শর্তে কৃষি ঋণ না পেলে প্রান্তিক বোরো চাষীদের গোয়ালের গরু কিংবা স্ত্রীর গহনা বিক্রি করেই মহাজনের দাদনের টাকা সুদসহ পরিশোধ করতে হবে। সূত্রে আরো জানা গেছে, চলতি বছর জেলার দশটি উপজেলায় সর্বমোট ৬১ হাজার ৩৬৯ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, সরকার কৃষকদের জন্য ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণের ব্যবস্থা করলেও ব্যাংকিং সেক্টরের নিয়মনীতিসহ নানা জটিলতায় কৃষকরা ব্যাংক ঋণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়েই দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদে তাদের টাকা সংগ্রহ করতে হয়েছে। চাষীদের অভিযোগ, উৎপাদিত বোরো ফসলের বাজার মূল্য এক শ্রেনির মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা নিয়ন্ত্রন করছেন। ফলে চাষীরা নায্য মূল্য থেকে হচ্ছেন বঞ্চিত। আর ওইসব মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারী ভাবে এখন পর্যন্ত বাজার মনিটরিং না করার কারনেই চাষীরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না।
বরিশালে ফরমালিন যুক্ত আম জব্দ
নগরীর পোর্ট রোড এলাকার আমের আড়ৎগুলোতে অভিযান চালিয়ে ফরমালিন যুক্ত দুই মণ আম জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার রাত নয়টার দিকে অভিযান পরিচালনার সময় দুই আড়ৎ মালিকের প্রত্যেককে ৫হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. শফিউল্যাহ জানান, ফরমালিন যুক্ত আম মজুতের খবর পেয়ে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের সহযোগীতায় অভিযান চালানো হয়। এসময় পোর্ট রোড এলাকার চন্দন সাহার বাংলার আড়ৎ এবং জাহাঙ্গীর মিয়ার আল্লারদান আড়ৎ থেকে দুই মণ ফরমালিন যুক্ত আম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ওই দুই মালিকের প্রত্যেককে ৫হাজার টাকা করে মোট ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

গৌরনদীতে তিন প্রবীন শিক্ষকের সংবর্ধনা
জেলার গৌরনদী উপজেলার শত বছরের ঐহিত্যবাহী নলচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত তিন প্রবীণ শিক্ষককে মঙ্গলবার সকালে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও নলচিড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম হাফিজ মৃধার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বাদশা ফকির, সেলিম খান, আনিস মীর, নজরুল প্যাদা, অশোক চন্দ্র দাস, কহিনুর খানম, প্রধান শিক্ষক নুরুল আলম প্রমুখ। শেষে বিদায়ী সহকারী প্রধান শিক্ষক স্বর্ন কুমার রায়, সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ আলী, সুশীল চন্দ্র দাসকে সংর্বধনা প্রদান করা হয়।

বরিশালে নজরুল সাংস্কৃতিক জোটের যাত্রা শুরু
জাতীয় ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা, সংগীত ও শিল্প চর্চাকে আরো বেগবান করতে বরিশালে যাত্রা শুরু করেছে নজরুল সাংস্কৃতিক জোট। এর উপলক্ষ্যে সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত এক সভার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শান্তি দাসকে আহবায়ক ও গোপাল কৃষ্ণ গুহ রিপনকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির ১৯ সদস্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন-শুভংকর চক্রবর্তী, বাসুদেব ঘোষ, মিজানুর রহমান মিজান, দীপ্তি রানী ঘোষ, সুশান্ত ঘোষ, অমিতা রায়, বিনয় কৃষ্ণ মন্ডল, সঞ্জয় হালদার, সাঈদ পান্থ, সৈয়দ অভি, মাইনুল ইসলাম। সংগঠনটি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তি উপলক্ষ্যে আগামী ১১ জৈষ্ঠ্যে নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে বলেও ওই সভায় জানানো হয়।



মন্তব্য চালু নেই