গৌরনদীতে এলাকাবাসীর চাঁদায় সরকারি স্কুলের মাঠ ভরাট
বিদ্যালয়ের সামনে পুকুর। ৭৬ বছরেও সংস্কার হয়নি স্কুল মাঠ। তাই মাঠের মাটি ভেঙ্গে পরেছে ওই পুকুরে। ফলে যেকোন সময় স্কুল ভবন ধ্বসে পরার আশংকা ছিলো। এছাড়াও স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও ছিলো চরম ঝুঁকির মধ্যে। যেকোন সময় পা পিছলে গেলেই শিক্ষার্থীদের পরতে হতো ওই পুকুরের মধ্যে। এসব সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন সুফল মেলেনি। অবশেষে এলাকাবাসীর চাঁদার টাকায় স্কুলের মাঠ ভরাট করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার নরসিংহলপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
সোমবার দুপুরে সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার অতিদরিদ্র এলাকা হিসেবে পরিচিত নরসিংহলপট্টি গ্রামের শিশু শিক্ষার বিস্তারের লক্ষ্যে ১৯৩৯ সালে নরসিংহলপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় আড়াই শত। স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে মেধা তৈরী, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশেষ সুনাম অর্জন করে আসলেও দীর্ঘদিনে স্কুল মাঠটি সংস্কার না করায় মাটি ভেঙ্গে স্কুলের সামনের পুকুরে মাঠটি বিলীন হয়ে যায়। ফলে বিদ্যালয়ের মুল ভবন অধিক ঝুঁকিপূর্নসহ বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা ঝুকির মধ্যে পরে। স্থানীয় জালাল উদ্দিন হাওলাদার, সেলিম সরদার, রাজিয়া সুলতানা জানান, বিষয়টি একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো সত্বেও কোন প্রতিকার মেলেনি। এছাড়া বিদ্যালযের ভবনটি ঝুকিপূর্ন হয়ে বিভিন্ন অংশে ফাঁটল দেখা দিয়ে আস্তর খসে পরলেও বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খায়রুল আলম জানান, স্কুল ভবন রক্ষাসহ শিশুদের ঝুঁকির কথা চিন্তা করে স্কুলের অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন নিজেরা চাঁদা তুলে অতিসম্প্রতি মাঠটি ভরাট করেছেন। ফলে শিশুদের জীবনের ঝুঁকি লাঘব হয়েছে। তিনি আরো জানান, স্কুলের সামনের পুকুরের মধ্যে পাইলিং না করায় বর্ষা মৌসুমে মাটি বৃষ্টিতে ধুয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। কিন্তু পাইলিং করে মাটি টেকানোর অর্থ স্কুলের নেই। তাই তারা বিদ্যালয় ভবন রক্ষা ও মাঠের মাটি ভরাট কাজ ধরে রাখতে পাইলিংয়ের মাধ্যমে প্যালাসাইর্ডিং নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
মন্তব্য চালু নেই