বিজিপির গুলিতে বিজিবি সদস্য আহত

‘গুলি বিনিময়ের কারণ উদঘাটন করা হবে’

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিপি ও বিজিবির মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনার কারণ উদঘাটন করা হবে। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে বুধবার ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর জাদিমুরা পয়েন্টে বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বিজিবি সদস্য সিপাহি বিপ্লব ও নিখোঁজ রয়েছেন নায়েক রাজ্জাক নামের বিজিবির আরেক সদস্য।

আহত বিজিবি সদস্য বিপ্লবকে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়েছে।

দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের পক্ষেও ৯/১০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। ভুল বোঝাবুঝি কেন হল তার একটা কারণ খুঁজে বের করা হবে। সীমান্তে আরো সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

‘নাসাকা বাহিনী একজনকে অপরহরণ করেছে কিনা’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অপহরণ করা হয়নি। মাছ ধরা জালে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ওপারে রয়ে গেছে। যখন বিজিবি সীমান্তের এপারে টহল দিচ্ছিল, তখন বিজিপিও ওপারে টহল দিচ্ছিল। টহলের সময় বিজিবি মাছ ধরার জালে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এতে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। এ সময় গুলি বিনিময় হয়, তাদের গুলিতে আমাদের দুইজন সামান্য আহত হন। আর মাছ ধরা জালে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে আমাদের আর একজন ওপারে রয়ে গেছে। পতাকা বৈঠকের পর তাকে ফেরত আনা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।



মন্তব্য চালু নেই