গুজরাট দাঙ্গায় মোদি নির্দোষ!
গুজরাট দাঙ্গার সব অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ২০০২ সালে গুজরাটের গোধরায় ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়ার জেরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় এক হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছিল। নিহতদের অধিকাংশ ছিল সংখ্যালঘু মুসলিম। ওই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মোদি। আর ওই দাঙ্গায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মোদির বিরুদ্ধে।
দীর্ঘ ১২ বছর পর গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জিটি নানাবতী ও হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অক্ষয় মেহতা গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী আনন্দিবেন প্যাটেলের বাসভবনে গিয়ে তার হাতে ২০০০ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
নানাবতী ও মেহতা কমিশনের আগে বিভিন্ন সময়ে গুজরাট দাঙ্গা তদন্তে ২৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা ব্যর্থ হওয়ার পর চূড়ান্তভাবে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হলো।
এর আগে ২০০৮ সালে কমিশন যে প্রথম রিপোর্টটি পেশ করেছিল, তাতে বলা হয়েছিল, গোধরা স্টেশনে ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ফল। অবশ্য ওই রিপোর্টেও তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার মন্ত্রীদের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
জানা গেছে, এই প্রতিবেদনটি আটটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এমনকি প্রতিবেদনটি তৈরির জন্য প্রায় ৪৫ হাজার মানুষের হলফনামা নেওয়া হয়েছে।
তবে বিচারপতি নানাবতী রিপোর্টের বিষয়বস্তু নিয়ে মুখ খোলেননি। তিনি বলেন, প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা বা না করা সরকারের ব্যাপার। সুপ্রিম কোর্ট তাদের রিপোর্টটি কমিশনকে দেওয়া থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাতে দুই থেকে আড়াই বছর সময় লেগেছে। তাই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করতে অনেকটা দেরি হয়েছে।
তথ্যসূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
মন্তব্য চালু নেই