গারো তরুণীকে গণধর্ষণের আলামত মিলেছে
গারো তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ডাক্তাররা গণধর্ষণের আলামত পেয়েছেন। তবে এই মুহূর্তেই ডাক্তাররা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাচ্ছেন না। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তারা এক সপ্তাহ সময় নিয়েছেন।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে গারো তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ ও পরীক্ষা শেষে ফরেনসিক বভিাগের প্রধান প্রফেসর ডা. হাবিবুজ্জামান চৌধুরী এমন কথাই বললেন।
তিনি বলেছেন, ‘তরুণীর বয়স এবং ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য এক্স রে এবং ‘হাইভেজানলসোয়াব’ করে পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন পুলিশের কাছে পাঠাবো। আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারবো।’
এর আগে সকাল ১১টার দিকে গণধর্ষণের অভিযোগকারী গারো তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তেজগাঁওয়ের ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগে নিয়ে আসা হয়। ফরেনসিক বিভাগের ডা. মমতাজ আরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা তত্বাবধান করেন।
গত বৃহস্পতিবার অস্ত্রের মুখে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর ভাটারা থানায় অজ্ঞাত পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেন ২১ বছর বয়েসী ওই আদিবাসী গারো তরুণী। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।
শুক্রবার দুপুরে পরিবারসহ তিনি থানায় গিয়ে মামলাটি করেন। মামলা নম্বর ২৬।
তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায়। দুই-তিন বছর আগে তিনি ঢাকায় আসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে দুই যুবক অস্ত্রের মুখে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরে মাইক্রোবাসের মধ্যেই পাঁচ যুবক তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে উত্তরার জসীম উদ্দিন রোডে ফেলে যায়। তবে ধর্ষকদের কারো নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি অভিযোগকারী তরুণী।
মন্তব্য চালু নেই