গাড়ি চাপা দিলে চালকের অভিনব শাস্তির সুপারিশ
ভারতের এবার বেপরোয়া গাড়ি চালালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দাঁড়িয়ে দেখতে হবে দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের কীভাবে অস্ত্রোপচার করা হয়। বেপরোয়া গাড়ি চালানো, গাড়ি চালাতে চালাতে মোবাইলে কথা বলা, সিগন্যাল ভাঙা, গতিসীমা ভেঙে গাড়ি চালানোর মতো অপরাধে এ ধরনের শাস্তিরই সুপারিশ করছে দেশটির সংসদীয় কমিটি। তাদের মতে, তা হলে বেপরোয়া গাড়ি চালকদের বোধগম্য হবে যে, নিয়ম ভাঙার পরিনাম কী হতে পারে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।
পথ দুর্ঘটনা রুখতে এবং পরিবহণ সংক্রান্ত নিয়মকানুন ঢেলে সাজতে মোটর ভেহিকল্স আইনে সংশোধন করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। সেই বিলে শাস্তি-জরিমানার পাশাপাশি নিয়ম ভাঙার অপরাধে জনসেবার কাজ করতে পাঠানোরও কথা রয়েছে। যেমন বিদেশে চালু রয়েছে। সেখানে নিয়ম ভাঙলে যে কোনও ধরনের জনসেবায় কাজ করতে পাঠানো হয়। ওই বিল খতিয়ে দেখে কমিটি জানতে চেয়েছিল, এ দেশে কী ধরনের জনসেবা করতে হবে। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রণালয় কমিটিকে জানিয়েছে, এই বিষয়টি রাজ্য সরকার ঠিক করবে।
কমিটির সুপারিশ, মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর সময় দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যু হলে চালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা না হলেও, মানুষ হত্যার সমান দণ্ডনীয় শাস্তির ব্যবস্থা হোক। মদ্যপান করে কেউ গাড়ি চালাচ্ছে কি না, তা বুঝতে এখন নিঃশ্বাস বা রক্ত পরীক্ষা করা হয়। কমিটির মতে, রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থায় অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। কারণ মদ্যপান করে গাড়ি চালাতে গিয়ে ধরা পড়ার অনেক পরে রক্তপরীক্ষা হয়। ফলে রক্তে অ্যালকোহলের মাত্রা কমে যায়। নিঃশ্বাস পরীক্ষার যন্ত্রও উন্নত মানের নয়। এ জন্য আন্তর্জাতিক মানের যন্ত্র কেনার সুপারিশ করেছে কমিটি।
সংসদীয় কমিটির মতে, এখন ভারতের রাস্তায় গতির ঊর্ধ্বসীমা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। অনেক হাইওয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য তৈরি হলেও সেখানে ঊর্ধ্বসীমা ১০০ কিলোমিটারে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এমন অনেক বিদেশি গাড়ি চলছে, যাতে ২৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি তোলা যায়। এই গাড়িগুলি ইউরোপ বা আমেরিকার পরিকাঠামো অনুযায়ী তৈরি। কমিটির সুপারিশ, ভারতের পরিকাঠামো অনুযায়ী গতিসম্পন্ন গাড়ি তৈরি নিশ্চিত করতে আইন আনুক সরকার।
মন্তব্য চালু নেই