গাজা ও ইসরায়েলে পাল্টাপাল্টি রকেটবোমা হামলা
বুধবার দিনের শুরুতে ইসরায়েল অধীকৃত গাজা উপত্যকার একাধিক অংশে বিমানহামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। ইসরায়েলের বন্দরনগরী আশদদে একটি রকেট বোমা এসে আঘাত হানার পর, এ হামলা পরিচালনা করে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী।
দুই হামলার একটিতেও কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলের দাবি, ঐ রকেটবোমা ছুড়েছে গাজায় অবস্থানকারী ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরায়েল গাজার একাধিক স্থানে নতুন করে বিমানহামলা পরিচালনা করে ঘাঁটিগুলো বিনষ্ট করতে চেয়েছে।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে চারটি আক্রমণোন্মুখ ঘাঁটি ছিল বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। এবং বিমানবাহিনীর দাবি চারটি ঘাঁটিই তারা ধ্বংস করতে পেরেছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
গাজার অধিবাসীদের কাছ থেকে জানা গেছে, ‘ইসলামি বিপ্লবীদের প্রশিক্ষণকেন্দ্রে’ বেশ ক’টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েল। ঐ কেন্দ্র পূর্বে ছিল ইসরায়েলের বসতি, ২০০৫ সালে দেশটি ঐ স্খান থেকে তা তুলে নেয়।
জানা যায় ‘গাজার দিক থেকে আসা’ রকেটবোমা আঘাত হেনেছিল উপত্যকাটির সীমান্ত থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে ইসরায়েলের বন্দরনগরী আশদদে। ইসরায়েলের নিরাপত্তারক্ষীরা অধিক আলামত সংগ্রহে ঐ স্খানে এখও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
বলা হচ্ছে, এ বছর ফিলিস্তিনের এটিই প্রথম দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপন। ইতোপূর্বে গত বছরের ৫০ দিনব্যাপী ফিলিস্তিনে ইসারায়েলি বোমাহামলা চলাকালে ফিলিস্তিনের ক্ষমতাসীন হামাস এবং লিবারেশন অর্গানাইজেশনের সেনারা এমন দূরপাল্লার কয়েকটি রকেটবোমা হামলা পরিচালনা করেছে। তবে সেগুলোর সব ক’টিই ব্যর্থ হয়েছিল।
গত বছরের অগাস্ট মাসে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর অর্ধশতাব্দির এ রণভূমি তুলনামূলক শান্ত রয়েছে। তবে তার স্থায়ীত্ব আবারও হুমকির মুখে পড়ছে হামাস ও ক্ষমতাসীন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশনের অন্তর্দ্বন্দ্বমুখীতায়।
যে কারণে বিদেশী শক্তিগুলো সহায়তা ও স্বীকৃতির মাধ্যমে অর্জিত হতে পারছে না কোনো স্থায়ী স্থিতি, এবং এর ‘সুযোগ নিয়ে ক্রমমাগত পরিস্থিতি জটিলতর করতে উদ্যত’ হয়ে আছে ইসরায়েল।
মন্তব্য চালু নেই