গরু পাচার ঠেকাতে ভারতে পুলিশ মোতায়েন
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে গরু পাচার ঠেকাতে একটি নতুন পুলিশ দল গঠন করা হয়েছে। কোনো গরু যেন বাইরে পাচার করা না যায় সেজন্যই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
ভারত থেকে যত গরু বাংলাদেশে পাচার হয় তার একটা বড় অংশই হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ থেকে আনা হয়। পুলিশের এই নতুন দলটির শীর্ষে রয়েছেন ডিআইজি ভারতী অরোরা। তার সঙ্গে আরও প্রায় ৩শ অফিসার ও পুলিশকর্মী এই নতুন পুলিশ টাস্ক ফোর্সে যোগ দিয়েছেন।
এই পুলিশ টাস্ক ফোর্স প্রয়োজনে যে কোনো জেলা বা থানার পুলিশবাহিনীরও সাহায্য নিতে পারবে।
ভারতী অরোরা বলেছেন, যেসব রাস্তা দিয়ে রাজ্যের বাইরে গরু পাচার করা হয় সেই রাজ্যগুলোর ওপরে নজরদারি করা, চেকপোস্টে তল্লাশি করা, কোথাও যদি পাচারের জন্য গরু মজুত করে রাখার খবর পাওয়া যায়, সেখানে হানা দেওয়া এগুলোই মূল কাজ আমাদের।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি জেলাতেই আমাদের টাস্কফোর্সের একেকটা ছোট ছোট দল গড়া হয়েছে। এছাড়া গ্রামে গ্রামে গরু পাচারের বিরুদ্ধে প্রচারণাও চালানো হবে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে একটা গরুও যেন রাজ্যের বাইরে পাচার না হয়।
সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে যে উৎসস্থলে যদি গরুগুলিকে আটকানো যায় অথবা যে সব রাজ্য দিয়ে গরু আনা হচ্ছে সেখানকার পুলিশবাহিনী যদি গরুবাহী ট্রাক আটকে দিতে পারে তাহলে পাচারকারীরা সীমান্ত অবধি পৌঁছতেই পারবে না। আর তখন পাচার নিয়ন্ত্রণ করা বিএসএফের পক্ষে অনেক সহজ হয়ে যাবে।
বিএসএফের অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি সমীর মিত্র বলেছেন, হরিয়ানার এই ব্যবস্থাকে সাধুবাদ জানাতেই হবে। আমরা তো অনেকদিন ধরে বলে আসছি যে উৎসস্থলেই গরুগুলোকে আটকাতে হবে। বিএসএফের দায়িত্ব তো সীমান্ত থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার।
রাজ্য পুলিশ বাহিনী অথবা এক্সাইজের মতো সরকারি এজেন্সিগুলো যদি তৎপর হয় তাহলে পাচারকারীদের রোধ করা যাবে। অন্য যেসব রাজ্যগুলো থেকে গরু আসে তাদেরও এই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
হরিয়ানার বিজেপি শাসিত সরকার গত বছরের শেষ দিকে গরুপাচার রোধে খুব কঠোর আইন প্রণয়ন করেছে। গরুপাচারকারীদের জন্য কড়া শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। গরু জবাই, গরুর মাংস রাখা বা খাওয়া হরিয়ানায় নিষিদ্ধ। রাজ্যে গো-সেবা কমিশন নামে একটি সাংবিধানিক সংস্থা তৈরি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং বারে বারেই বলেছেন, বাংলাদেশে গরু পাচার শূণ্যে নামিয়ে আনতে হবে।
মন্তব্য চালু নেই