খুন করে রক্তাক্ত স্ত্রীর পাশে ৩ ঘণ্টা বসে স্বামী!

পাশের কক্ষেই চার বছরের ছেলে ঘুমিয়ে। স্ত্রীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে খুন করলেন স্বামী। স্ত্রীর সেই রক্তাক্ত লাশের পাশে ঠায় বসেছিলেন প্রায় তিন ঘণ্টা।

রোববার ভোরে ভারতের মুব্বাইয়ের মাতুঙ্গা এলাকার কোহিনুর টাওয়ারে লোমহর্ষক এ ঘটনা ঘটে। খবর আনন্দবাজার’র।

পেশায় দন্ত চিকিৎসক উমেশ বাবোল (৩৮) স্ত্রী তনুজাকে (৩৬) নিয়ে ওই টাওয়ারে থাকতেন। তাদের সাত বছরের দাম্পত্য জীবনে চার বছরের একটি ছেলে আছে।

পুলিশ জানিয়েছে, উমেশ আর তনুজার মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। সেই কারণে তনুজা বাবা-মায়ের কাছে থাকছিলেন। শনিবার রাতে উমেশের কাছে ফিরেছিলেন তিনি।

রোববার ভোরে স্ত্রীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন উমেশ। রক্তে তখন ভাসছে ঘরের মেঝে। টানা তিন ঘণ্টা সেখানেই বসে কাটান এই দন্ত চিকিৎসক।

এরপর শিবাজি পার্ক থানায় ফোন করে উমেশ খবর দেন, তিনি নিজের স্ত্রীকে খুন করেছেন।

পুলিশের কাছে উমেশ দাবি করেছেন, তর্কের সময় রাগের মাথায় তিনি ছুরি দিয়ে তনুজাকে আঘাত করতে শুরু করেন।

তবে কোহিনুর টাওয়ারের অন্য বাসিন্দারা বলেন, উমেশ-তনুজার মধ্যে মাঝেমধ্যেই বাদানুবাদ হতো। কিন্তু রোববার সকালে দুজনের মধ্যে কোনো ঝগড়ার আওয়াজ তারা শোনেননি।

রোববার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ পুলিশকে উমেশ খবর দেন। কিন্তু সকাল সাড়ে ৬টায় ঘটনাটি ঘটানোর তিন ঘণ্টা পর কেন তিনি পুলিশকে খবর দিলেন এবং কেন তিন ঘণ্টা রক্তাক্ত দেহের পাশে বসে রইলেন- এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, তনুজার মৃত্যু নিশ্চিত করতেই হয়তো দেরি করে পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন উমেশ। আর ছক কষেই সব ঘটানো হয়েছে।

পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, আট মাস আগে তনুজা উমেশের বিরুদ্ধে থানায় নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ওই মামলার বিচার চলছে।



মন্তব্য চালু নেই