‘খালেদা জিয়ার হাওয়া ভবন ছিল খাওয়া ভবন’
বেগম খালেদা জিয়ার হাওয়া ভবন ছিল খাওয়ায় জন্য বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সাহায্য তো কম করেন না। ঈদের সময় যে মানুষকে কাপড় দিতে হয়, এটাও খালেদা জিয়া জানতেন না। যা কিছু আছে, সবকিছু তার ছেলেরা খাবে, হাওয়া ভবন বানাবে, খাওয়া ভবন বানাবে- এটাই ছিল তাদের দেশ শাসনের নমুনা। আর শেখ হাসিনা সবকিছুই দেশের মানুষের জন্য দেন- এই হলো পার্থক্য।
শুক্রবার সকালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের গোজাকুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সভায় কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এ মন্তব্য করেন।
কৃষিমন্ত্রী আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মেধাবী ছাত্রীদের মাঝে শাড়ি-থ্রিপিচ, গরীব-দুঃস্থদের মাঝে শাড়ি, ট্রাউজার, গেঞ্জি ও স্পেশাল ভিজিএফ এর চাল বিতরণকালে আরও বলেন, গরীব মানুষকে শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ দেখেন না। ছাত্র-ছাত্রীদের শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ দেখেন না। খালেদা জিয়া নিজেও পড়াশোনা জানে না, তার ছেলেরাও পড়াশোনা জানে না। কাজেই সেটার মর্যাদাও তারা জানে না। শেখ হাসিনা বইয়ের মর্যাদা জানেন, কাজেই বিনা পয়সায় তিনি বই দেন।
এদিন মন্ত্রী নালিতাবাড়ী উপজেলার ১২ ইউনিয়নের মধ্যে ৮ ইউনিয়নে ৩৮টি মাধ্যমিক ও মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৫২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে মেধাক্রম অনুসারে প্রথম পাঁচজনকে একটি করে শাড়ি ও প্রথম দশজনকে একটি করে থ্রিপিচ, ৩ হাজার ২শ জন গরীব-দুঃস্থের মাঝে শাড়ি, ট্রাউজার, গেঞ্জি ও টি-শার্ট এবং ১ হাজার ৩৩৭ জনের মাঝে ১০ কেজি করে স্পেশাল ভিজিএফ এর চালসহ খেজুর বিতরণ করেন।
কৃষিমন্ত্রীর সাথে শেরপুরের জেলা প্রশাসক ডাঃ এএম পারভেজ রহিম, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মুখলেছুর রহমান রিপন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরফদার সোহেল রহমানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে মন্ত্রী নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নে ১ হাজার ৫৫০ জন দুঃস্থের মাঝে চাল বিতরণ করেন।
মন্তব্য চালু নেই