খালেদার মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ ২৯ জানুয়ারি

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি করে ২৯ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এ দিন আদালতে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলা দুটির বাদী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ আদালতে সাক্ষ্য দেন। এই আদালতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ন্যায় বিচার না পাবার কথা বলে বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানান। প্রয়োজনে তারা উচ্চ আদালতে যাবার ঘোষণা দেন।

রাজধানীর বকশীবাজার এলাকায় আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থিত ঢাকা বিশেষ জজ-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে বৃহস্পতিবার সকালে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

এর আগে সকালে বেগম খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ থাকায় আদালতে হাজির হতে না পারায় তার আইনজীবীরা সাক্ষ্য গ্রহণ মুলতবি রাখার জন্য সময়ের আবেদন করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

২০০৯ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার প্রাক্তন সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার প্রাক্তন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডবি¬উটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার প্রাক্তন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলায় হারিছ চৌধুরী শুরু থেকেই পলাতক।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। গতবছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে মামলা দুটিতে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ-৩ এর বিচারক বাসুদেব রায়।



মন্তব্য চালু নেই