খাগড়াগড়কাণ্ডের মূল চক্রীদের খোঁজ পেতে রেজাউলই তুরুপের তাস গোয়েন্দাদের

বাংলাদেশী আইইডি এক্সপার্ট হাতকাটা নাসিরুল্লা, জঙ্গিদের তৈরি আইইডি পাচার এবং জঙ্গি জাল ছড়ানোর জন্য লক্ষ লক্ষ টাকার জোগানদার কওসর ও হাবিবুর এবং শিমুলিয়ার জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির মাদ্রাসার দুই কর্ণধার ইউসুফ ও বোরহান শেখ। খাগড়াগড় কাণ্ডের অন্যতম ৫ চক্রীর খোঁজ পেতে এনআইএ-র গোয়েন্দাদের হাতে এখন একমাত্র চাবিকাঠি রেজাউল করিম। ঝাড়খণ্ড থেকে ধৃত রেজাউলকে ক্রমাগত জেরা করে ওই ৫জনের গোপন আস্তানার হদিশ পেতে চাইছে এনআইএ। কারণ, এঁদের নাগাল না পেলে কোনওভাবেই যে বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডের শিকড়ে পৌঁছোনো সম্ভব নয়, তা এতদিনে বুঝে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। রেজাউল একদিকে যেমন খাগড়াগড়ের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, তেমনই মুর্শিবাদের নানা জায়গায় বেশ কয়েক বছর আগে থেকে কী কায়দায়, কাদের মাধ্যমে, ধীরে ধীরে জাল ছড়িয়েছিল, সেই ইতিহাস ও পরিকল্পনারও একমাত্র যোগসসূত্রকারী। তাই রেজাউলের গ্রেফতারিকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। পাশাপাশিই রেজাউলের মাধ্যমে অন্য মাস্টারমাইন্ডদের খোঁজ মেলাও সম্ভব বলে দাবি করছে এনআইএ। বাকিদের খোঁজ পাওয়া ছাড়া গোয়েন্দারা রেজাউলকে জেরা করে যা জানতে চাইছেন, তার মধ্যে অন্যতম দু’টি বিষয় হল–

১। যে ৩৯টি আইইডি রেজাউলের বাড়ি থেকে এনএসজি ও এনআইএ উদ্ধার করেছিল, সেগুলোর প্রকৃতি ভিন্ন ছিল। তাহলে ওগুলো কোথায় তৈরি করে কেন ও কী উদ্দেশে জমা করা হচ্ছিল?

২। মুর্শিদাবাদে নাসিরুল্লা গ্রেনেড লঞ্চারই বা তৈরি করেছিল কেন?

ঝাড়খণ্ডে গ্রেফতার করার পর রবিবার রেজাউলকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়নি। এনআইএ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রেজাউলকে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে তোলা হবে।



মন্তব্য চালু নেই