কড়া নিরাপত্তায় চলছে ট্রেন
অবরোধে কড়া নিরাপত্তায় চলছে ট্রেন। নাশকতা ঠেকাতে ট্রেনের ইঞ্জিনের দুইপাশে সশস্ত্র পাহারায় রয়েছে আরএনবি-জিআরপির পাশাপাশি আনসার-ভিডিপির সদস্যরা।
নাশকতা এড়াতে ট্রেনের গতি কমিয়ে আনা হয়েছে ৫০ কিলোমিটারে। পাইলটিং (ট্রেনের আগে আরও একটি ইঞ্জিন পাঠানো) সিস্টেমে চলছে রাতের ট্রেন।
এদিকে গতি কমিয়ে আনায় রাজধানীসহ সারা দেশে ট্রেনের সিডিউল লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ছে ট্রেন।
৫ জানুয়ারির কর্মসূচি পালনে ব্যর্থ হওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের কর্মসূচি দেন। অবরোধের শুরু থেকেই ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে আগুন দেওয়া হচ্ছে, রেল লাইনের ফিসপ্লেট তুলে ফেলার মতো নাশকতাও ঘটেছে।
রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন বলেন, আগে থেকেই রেলপথের নিরাপত্তায় চার হাজার আরএনবি-জিআরপি মাঠে সক্রিয় ছিল। রেলওয়ের নিয়মিত নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে অতিরিক্ত ৮ হাজারের বেশি আনসার-ভিডিপির সদস্য যুক্ত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রেলে নাশকতা রোধে এবং চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সারা দেশের ঝুঁকিপূর্ণ ১০৪১টি পয়েন্টের প্রতি পয়েন্টে আটজন করে মোট ৮৩২৮ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া রেল লাইন পাহারা দিতে রাতে প্রতিটি ট্রেনের আগে একটি ট্রলিও যাতায়াত করছে।
বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় সারা দেশে রেল চলাচল স্বাভাবিক ও রেল লাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত রোববার রেল মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সভায় দ্রুত আনসার নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার থেকেই ১০৪১টি পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছে ৮৩২৮ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য।
টানা অবরোধ আর হরতালের প্রভাব সড়ক পথ ছাড়িয়ে পড়েছে রেলেও। ভেঙে পড়েছে সারাদেশে ট্রেনের শিডিউল। ফলে দুরপাল্লার প্রতিটি ট্রেনই নির্ধারিত সময়ের অনেক পরেই ঢাকা পৌছাচ্ছে। আর ছেড়েও যাচ্ছে দেরি করে।
শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে কয়েকটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঘন্টার পর ঘন্টা যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা বলছেন রাজনীতিবিদরা জনগনের স্বার্থ নিয়ে ভাবেন না বলেই দুর্ভোগের শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে।
মন্তব্য চালু নেই