ক্ষুধার্থ এক বৃদ্ধের প্রতি পুলিশ অফিসার রানার সহানুভূতি
“আজ (৯ ডিসেম্বর ২০১৪) যখন উত্তরা রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্স এর সামনে একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলাম। তখন একটি বৃদ্ধ মানুষ আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি বললাম চাচা কিছু বলবেন,,,,? বৃদ্ধ লোকটি আমাকে বললো স্যার আমাকে কিছু খেতে দেবেন। আমি কাল সারা দিন না খেয়ে ছিলাম।
তার কথা শুনে আমার চোখে জ্বল আসার মত হয়েছিল। আমি সঙ্গে সঙ্গে তাকে বললাম বাবা আমি আপনার ছেলের মত আপনার যা খেতে ইচ্ছা করে এই দোকান থেকে খান। যা টাকা লাগে আমি দেব। তার ইচ্ছা মত খেল আমি পাশে দাড়িয়ে তার মুখটার দিকে চেয়ে রইলাম দেখলাম তার পেটে জমে থাকা কত ক্ষুধা।
তার খাওয়া শেষ হলে আমি তাকে বললাম বাবাজি আপনার আর কিছু লাগবে। তিনি বললো আমি খুব অসুস্থ আমাকে কিছু ঔষধ কিনে দেবেন। আমি তাকে ঔষধের দোকান থেকে ঔষধ এনে দিলাম। এবং বললাম দুপুরে এখানে আসবেন এবং আমি আপনাকে খাওয়াবো।
আমি আপনাদের উদ্দেশে একটা কথা বলতে চাই। আমাদের দেশের ১৬ কোটি মানুষের মাঝে এই সকল গরীব দুখী মানুষও তো দেশের নাগরীক। আমাদেরি তো ভাই আমাদেরি তো বোন। আমরা কি পারিনা এই সকল গরীব দুঃখী মানুষের পাশে দাড়িয়ে একটু সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিতে। আমরা কি পারিনা তাদের কে একটু ভালবাসতে একটু সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিতে । একটি কথা সবাইকে বলি যারা মানুষকে ভালবাসে, তাদেরকে উপরআলা ভালবাসবে।”
সূত্রঃ রানা নন্দী-এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেওয়া
মন্তব্য চালু নেই