কোরআন পোড়ানোর অভিযোগে নারীকে হত্যা
আফগানিস্তানে কোরআন পোড়ানোর অভিযোগে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এএফপি।
কাবুল পুলিশের অপরাধী তদন্ত বিভাগের প্রধান জেনারেল ফরিদ আফজাল সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ওই হত্যার ঘটনায় শুক্রবার নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। হত্যার ওপর ধারণকৃত এক ভিডিও দেখে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানী কাবুলের রাস্তায় ওই নারীকে ধরে পেটাতে থাকে বিক্ষুব্ধরা। তারা তার মাথা ইট দিয়ে থেতলে দেয়। এতে ওই নারীর মৃত্যু হয়। এরপর তারা মৃতদেহে আগুন ধরিয়ে দেয়। সবশেষে নিহতের লাশ কাবুল নদীতে ফেলে দেয়া হয়।
তবে ফরিদ ফয়সাল বলছেন, ২৭ বছরের ওই নারী মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং তার চিকিৎসা চলছিল।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডকে ‘চরম সহিংসতা’ হিসেবে উল্লেখ করে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন,‘বিচারের দায়িত্ব কোনো ব্যক্তি নিজ কাঁধে তুলে নিতে পারেন না। কাউকে এ ধরনের সহিংস শাস্তি দেয়াটা অমানবিক।’
তবে স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা এবং এক মসজিদের ইমাম ওই মুশরিক নারীর শাস্তির ঘটনাকে সমর্থন করেছেন। ওয়াজির আকবর খান মসজিদের ইমাম সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন,‘এ ঘটনায় জড়িতদের যেন আটক করা না হয়। কেননা এর ফলে দেশ জুড়ে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়তে পারে।’
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন এক ব্যক্তি। তিনি লিখেছেন,‘কাবুলের যেসব ধার্মিক লোকজন ওই নারীকে পুড়িয়ে হত্যা করেছেন তাদের মধ্যে আমিও ছিলাম। ওই নারীর স্থান নরকে।’
এছাড়া এ হত্যাকাণ্ডকে যুক্তিযুক্ত বলে উল্লেখ করেছেন কাবুল পুলিশ প্রধানের এক মুখপাত্র।
মন্তব্য চালু নেই