‘ধর্ষণের জন্য মেয়েরাই বেশি দায়ী’

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন ২৩ বছরের এক মেডিকেল ছাত্রী। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি মুকেশ সিং বলেছেন, ‘ধর্ষণের জন্য মেয়েরাই বেশি দায়ী।’ এছাড়া ছাত্রীর ওই মৃত্যুর ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ওই দিনের ঘটনা নিয়ে বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মুকেশ এ মন্তব্য করেন।

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী ছিলেন শিক্ষানবিশ ফিজিওথেরাপিস্ট। ঘটনার দিন সিনেমা হল থেকে ফেরার পথে তাকে গণধর্ষণ করে এবং তার বন্ধুকে বেদম মারধর করে অজ্ঞান অবস্থায় চলন্ত গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলে হামলাকারীরা। বর্বর এই ঘটনার প্রতিবাদে ভারতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবিতে দিল্লিসহ ভারতের রাস্তায় নামে হাজারো মানুষ। গণবিক্ষোভের মুখে ধর্ষণের শাস্তি বাড়াতে আইন সংশোধনে বাধ্য হয় সরকার।

চলন্ত বাসে গণধর্ষণের ওই মামলায় ছয়জনের বিচার করা হয়। পাঁচজনকে ফৌজদারি আইনে ও একজনের শিশু আদালতে বিচার শুরু হয়। বিচার চলার সময়ই মামলার প্রধান আসামী রাম সিংয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয় কারাগার থেকে। মুকেশ, বিনয় শর্মা, পবন ও অক্ষয় ঠাকুরকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। মামলার পঞ্চম আসামিকে তিন বছরের জন্য কিশোর সংশোধনী কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

মুকেশ বলেন, ‘কোন ভদ্র মেয়ে রাত ৯টার পর বাইরে ঘুরে বেড়ায় না। তিনি বলেন, ধর্ষণের জন্য ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি দায়ী। ছেলে ও মেয়ে সমান হতে পারে না।’

তার ভাষায়, ওই ছাত্রী যদি তাদের বাধা না দিতো তাহলে তারাও তাকে মারধর করতেন না। তার উচিত ছিল নীরবে ধর্ষণকে মেনে নেওয়া। সেক্ষেত্রে তারা শারীরিক নিপীড়নের পর তাকে ছেড়ে দিতো এবং শুধুমাত্র ছেলেটিকেই মারধর করতো।

মেয়েদের কেবল গৃহস্থালি কাজ করা উচিৎ মন্তব্য করে এই ধর্ষক বলেন, ‘মেয়েদের জন্য কেবল গৃহস্থালি ও গৃহসজ্জার কাজ, তাদের রাতে ডিস্কো ও বারে বাজে কাজ করা, বাজে পোশাক পরা উচিৎ নয়।’

তার মতে, মাত্র ২০ শতাংশ মেয়েই ভালো।



মন্তব্য চালু নেই