‘কোন বাহিনী কী করবে তাও প্রধানমন্ত্রী বলে দিচ্ছেন’
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপাপ্ত আহ্বায়ক ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেছেন, “অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী রাষ্ট্রের ন্যায় প্রতিনিয়তই বিচারবহির্ভূতভাবে গুলি করে মানুষ মারা হচ্ছে। আসামি গ্রেফতারের পর গুলিবিদ্ধ হয় তা আমরা আগে কখনও শুনিনি।”
এ সময় নিরাপরাধ মানুষকে গুলি করে হত্যা না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বানও জানান পেশাজীবী এই নেতা।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিতি পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, বিনাবিচারে হত্যাকাণ্ড বন্ধ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দাবিতে’ এক মানববন্ধন ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, “৫ জানুয়ারির নির্বাচন দেশে এবং বিদেশের কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। তাই পেশাজীবীদের চাওয়া একটাই দেশে এমন একটি নির্বাচন হোক যে নির্বাচন নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন থাকবে না। যেখানে সকল দল অংশ নেবে। সেই নির্বাচনকে অন্যান্য দেশ রোল মডেল হিসেবে গ্রহণ করবে।”
এজন্য সারাদেশে চলমান সহিংসতা বন্ধ ও রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দেশের বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সংলাপে বসে একটি সুষ্ঠ সমাধানের অনুরোধ জানান সাংবাদিক এই নেতা।
‘বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়’ প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়ের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে গাজী বলেন, “আলোচনাই সমাধানের একমাত্র পথ। আমরা বরাবর দেখেছি সরকারি দল আলোচনার কথা বলে থাকেন কিন্তু এখন এর বিপরীত হচ্ছে। বিরোধী দল বারবার আলোচনার কথা বললেও সরকার তা আমলে নিচ্ছে না। কোন বাহিনী কী করবে তাও প্রধানমন্ত্রী বলে দিচ্ছেন।”
পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অভিযোগ করেন, “সাগর-রুনির বিচার এখনও হচ্ছে না, নোয়াখালীতে ডা. ফয়েজকে ওপর থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে এভাবে অসংখ্য পেশাজীবীকে হত্যা করা হচ্ছে।”
সরকারকে হুঁশিয়ার করে গাজী বলেন, “আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি দেয়া, দিগন্ত টিভি, চ্যানের ওয়ানসহ সকল বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়াসহ দেশে গণতন্ত্র না আসা পর্যন্ত পেশাজীবীদের আন্দোলন চলতেই থাকবে।”
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন- ড্যাবেব সাবেক সভাপতি ডা. এ কে এম আজিজুল হক, ইঞ্জিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল হক, প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের গাজী প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই