মরদেহ এখন গুলশান কার্যালয়ে

কোকোর মরদেহের পাশে মা খালেদা জিয়া

টানা ছয় বছর পর অন্তরের ধন কোকোর পাশে মা বেগম খালেদা জিয়া। হৃদয়ের সব টুকু স্নেহ ঢেলে দিয়ে আজ বরণ করে নিলেন নাড়িছেঁড়া ধনকে। তবে যে কোকোকে আজ তিনি কাছে পেলেন তা তিনি চাননি কখনো।

মঙ্গলবার বেলা ১টা ৪০ মিনিটে কোকোর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে। ১টা ৪৮ মিনিটে অ্যাম্বুলেন্স থেকে মরদেহ নামানো হয়।

এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে কোকোর মরদেহ বহনকারী মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ ১০২ ফ্লাইটটি শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

লাশের সঙ্গে ছিলেন কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়ে, মামা শামীম ইস্কান্দার ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু।

বিমানবন্দরে কোকোর মরদেহ গ্রহণ করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ এবং আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস কাদের চৌধুরী।

ঢাকায় পৌঁছার পর কোকোর মরদেহ নেয়া হয় সরাসরি বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে। সেখান থেকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে নেয়া হবে মরদেহ। সেখানে বাদ আসর অনুষ্ঠিত হবে নামাজে জানাজা। বিকেলে বনানীর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মালয়েশিয়ায় মারা যান কোকো। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু ঘটে।

 

কোকোর মরদেহ এখন গুলশান কার্যালয়ে
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ গুলশান কার্যালয়ে পৌঁছেছে। দুপুর দেড়টার দিকে কোকোর মরদেহ নিয়ে কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন মালয়েশিয়া থেকে আসা তার স্বজন ও বিমানবন্দর থেকে যোগ দেওয়া বিএনপির প্রতিনিধি দল।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কোকার মরদেহ সরাসরি গুলশানে নিয়ে আসা হয়েছে। এ সময় স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে কার্যালয়ের আশপাশের পরিবেশ।Arafat-7-1422344242

মঙ্গলবার মালেয়শিয়ার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে কোকোর কফিন মালেশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ-১০২ বিমানে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন তার স্বজনেরা। বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকায় অবতরণ করে বিমানটি। মরদেহ গ্রহণ করেন দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল্লাহ আল নোমান ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। এছাড়াও বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী বিমানবন্দর এলাকায় উপস্থিত হন।

কোকোর মরদেহের সঙ্গে আসেন তার স্ত্রী শর্মিলা রহমান, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান, মামা শামীম এস্কান্দার, তার আতœীয়-স্বজন, শামীম এস্কান্দারের শ্যালক, শ্যালকের স্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু, কোকোর মামা শ্বশুর এবং মালেয়শিয়া বিএনপির ২০ থেকে ২৫ জন স্থানীয় নেতা।

গুলশান কার্যালয় থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে কোকোর দ্বিতীয় নামাজের জানাজার জন্য জাতীয় মসজিদ রায়তুল মোকাররমে নেওয়া হবে। বাদ আসর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তার লাশ বনানীর সামরিক কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।

গত শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মালেয়শিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। মালয়েশিয়ার নিগারায় জাতীয় মসজিদে রোববার বাদ জোহর প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

তার মৃত্যুতে সোমবার থেকে তিনদিন দেশব্যাপী শোক দিবস পালন করছে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠন। এ উপলক্ষে দলটির দেশের সকল কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করছেন।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সেনানিবাসের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেফতার হন কোকো। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরদিন চিকিৎসার জন্য স্ত্রী শর্মিলা রহমান, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান নিয়ে থাইল্যান্ড চলে যান তিনি। গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় যান কোকো।



মন্তব্য চালু নেই