কেনিয়ায় ওবামার জন্মস্থান ও তার বাবার পৈর্তৃক ভিটা দেখুন ছবিতে
রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার পৈর্তৃক ভিটা কেনিয়াতে বাস করেন তার আদি স্বজনেরা। ওবামার বাবা ১৯৩৬ সালে কেনিয়ার কোগেলো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আর এ গ্রামেই তাকে সমাহিত করা হয়।
ওবামা রাষ্ট্রীয় সফরে গত বৃহস্পতিবার রাতে কেনিয়া পৌছান। এর আগে প্রায় এক দশক আগে সিনেটর থাকাকালীন তিনি কেনিয়া আসেন।
শুধুমাত্র এই জায়গাটিতেই বিশ্বের শক্তিধর নেতার পারিবারিক শিকড় আছে। আর এটাই তাকে রাজনৈতিক চড়াই-উতরাই পার করে সফলতা এনে দেয়। পৈত্রিক গ্রাম কোগেলো আর মৃত বাবাকে নিয়ে ‘ড্রিমস ফ্রম মাই ফাদার’ নামে একটি বইও লিখেছেন তিনি।
গ্রামটিতে সিনেটর বারাক ওবামা প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহুবিধ বারাক ওবামা সাফারি পার্ক, ফোনের রিংটোন এমনকি স্থানীয় এক হোটেলে বারাক ওবামা স্যুটও চালু করা হয়েছে। তাছাড়া তার নামে তরুণদের নামও রাখা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সম্প্রতি কোগেলো গ্রামের অনেকগুলো ছবি প্রকাশ করেছে। চলুন ছবিগুলোর মাধ্যমে ঘুরে আসি ওবামার পৈত্রিক গ্রাম থেকে।
কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির পশ্চিমে অবস্থিত কোগেলো গ্রামের ব্যস্ত বাজারে তাড়াহুড়ো করে মানুষের যাতায়াত।
কোগেলোর বাজারে তেল ভরতে আসা এক মোটরসাইকেল আরোহীর গায়ে বারাক ওবামার ছবি সম্বলিত টি-শার্ট।
ওবামার পূর্বপুরুষদের গ্রাম কোগেলোর বাস্তুভিটায় রাষ্ট্রপতির প্রয়াত বাবা বারাক হুসেন ওবামা সিনিয়র ও দাদা হুসেন অনইয়াঙ্গো ওবামার কবর।
বাস্তুভিটায় হাস্যরত ওবামার সৎদাদীমা সারাহ হুসেন ওবামা।
কোগেলো বাজারের পাশের রাস্তা দিয়ে যাত্রীবাহী মোটরবাইকের গমনদৃশ্য।
রসায়নবিদের চেম্বারের সামনে অপেক্ষারত গ্রাহক।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার নামে রাখা সাত বছর বয়সী বারাক ওবামা পাশ্ববর্তী সিনেটর ওবামা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছে।
সিনেটর ওবামা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বিরতিতে খেলছে শিক্ষার্থীরা।
স্কুল শিক্ষিকা লিনেট আকিনি ক্লাসে প্রথিমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন।
বিরতির সময় ক্লাসরুম থেকে ছুটে বের হচ্ছে দুই শিক্ষার্থী।
বিরতিতে খেলায় মনযোগী এক বালক
স্কুলে থেকে মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য বাসায় যাচ্ছে দুই শিক্ষার্থী।
বাজার থেকে ওবামার পৈত্রিক বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্রে পতাকার ছবি সম্বলিত ব্যাগ মাথায় রোসা আনইয়াঙ্গো।
কসাইয়ের দোকানে ঝোলানো শূকরের মাংস।
স্থানীয় ভূট্টা-কলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক বালক।
প্যাট্রিসিয়া আনইয়াঙ্গো নামের এক বিক্রেতা তার স্টলে মাছ সাজাচ্ছে।
ফ্লোরেন্স অ্যাডহিয়াম্বো নামের এক বিক্রেতা ডোগনাটস ভাজার আগে তেল দিয়ে কড়াই গরম করছে।
বাড়ির বাইরে কাপড় চোপড় পরিষ্কারে ব্যস্ত ম্যারি আধিহাম্বো নামের এক মহিলা।
শূকরের সাথে খুনসুটিতে মত্ত এক কুকুর।
গাধায় টানা মালবাহী গাড়িতে পানি বহন করছে দুই ব্যক্তি।
কোগেলো ঔষধালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নোটিশে ওষুধের দাম বর্ণিত।
সূর্যাস্তের মুহূর্তে ঝুড়ি কাঁধে বাড়ি যাচ্ছে এক বালক।
এলিজাবেথ আলাউচ নামের এক মধ্যবয়সী নারী সেলুনে চুলের পরিচর্যা করছেন।
স্থানীয় দোকানে পণ্য কিনছে এক নারী।
বারাক ওবামার কোগেলো গ্রামে বেড়াতে আসা নিয়ে প্রার্থণা করছেন স্থানীয় গির্জার ধর্মীয় নেত্রী ক্লেমেনটিনা অমা ওজওয়াং।
স্থানীয় পেট্রোল পাম্প থেকে বাইকে তেল ভরছে এক মোটরবাইক আরোহী।
স্থানীয় গির্জার এক নারী ওবামার পিতৃভূমিতে ফেরা উপলক্ষে প্রার্থণা করছেন।
যাত্রীসহ বাজার অভিমুখে যাতায়াতরত এক মোটর আরোহীর টি-শার্টে বারাক ওবামার ছবি।
বেলচা হাতে স্বর্ণ খুজতে যাচ্ছেন এক অনুসন্ধানকর্মী।
স্বর্ণ খনিতে কর্মরত অনুসন্ধানকর্মীরা।
ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে হাসোজ্জল এক স্বর্ণ অনুসন্ধানকারী।
কোগেলো গ্রামের এক স্বর্ণ খনিতে কর্মরত শ্রমিকরা।
স্বর্ণ খনিতে কাঁচা আকরিক খুজতে ব্যস্ত নারী শ্রমিকরা।
২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট সিনেটর হিসেবে কেনিয়া সফরে আসার পর দাদীর সাথে বারাক ওবামা।
আর এই হল বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপতির সাম্প্রতিক ছবি।
মন্তব্য চালু নেই