কীভাবে হয় আমেরিকার নির্বাচন? জানলে অবাক হবেন
অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পদ্ধতি একটু আলাদা। এখানে সারা দেশ মিলিয়ে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থীই যে নিশ্চিত বিজয়ী হবেন এমন নয়। তাঁকে আসলে জিততে হবে রাজ্যগুলোর ইলেকটোরাল ভোট।
প্রতিটি রাজ্যে আছে জন্যসংখ্যার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেকটোরাল ভোট। একটি রাজ্যে যিনি বেশি ভোট পাবেন, সেই রাজ্যের সব ইলেকটোরাল ভোটই তাঁর হয়ে যাবে। দেশটিতে মোট ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। যিনি ২৭০ পার করবেন, তিনি জয়ী হবেন।
২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জর্জ ডব্লু বুশ সারা দেশের হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে প্রায় পাঁচ লাখ ভোট কম পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ২৭১-২৬৬ ইলেকটোরাল ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। যুক্তরাষ্ট্রে যে নির্বাচনী রেওয়াজ গড়ে উঠেছে, তাতে দেখা যায়, বেশির ভাগ রাজ্য একই দলকে জিতিয়ে আসছে অনেক দিন ধরে।
যেমন ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ ইয়র্কের বাসিন্দারা ডেমোক্রেটিক পার্টিকে জেতাচ্ছে আজ প্রায় ২০ বছর ধরে; ঠিক তেমনই টেক্সাস, লুইজিয়ানা, টেনেসির বাসিন্দারা যুগ যুগ ধরে রিপাবলিকানদের ভোট দিয়ে আসছে। ফলে হাতে গোনা কিছু রাজ্য পড়ে থাকে যেগুলো নিয়ে শুরু হয় দড়ি টানাটানি।
মার্কিন রাজনীতিতে যার নাম ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেটস। এ ধরনের রাজ্যগুলো হল পেনসিলভানিয়া (২০টি ইলেকটোরাল ভোট), নিউ হ্যাম্পশায়ার (৪), নেভাডা (৬), ওহাইয়ো (১৮), আইওয়া (৬), ফ্লোরিডা (২৯), নর্থ ক্যারোলাইনা (১৫), কলোরাডো (৯) ও নিউ মেক্সিকো (৫)।
হিলারি ক্লিন্টন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব রাজ্যে চরকির মতো ঘুরে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। নিশ্চিত যে সব রাজ্য, সেখানে যাচ্ছেন না তাঁরা। যেমন ক্যালিফোর্নিয়া (৫৫) ও নিউ ইয়র্কের (২৯) ইলেকটোরাল ভোট ডেমোক্র্যাটদের বাঁধা বলে হিলারি বা ট্রাম্প কেউ সেখানে প্রচারে যাননি। টেক্সাসের ৩৮টি ভোট রিপাবলিকানদের হয়েই আছে দীর্ঘকাল ধরে। তাই টেক্সাসবাসীও প্রচারের ঢক্কানিনাদ থেকে বেঁচে গেছে। -আজকাল
মন্তব্য চালু নেই