কাস্ত্রোর কোনো ভাস্কর্য কিউবায় হবে না

কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো জানিয়েছেন, তার ভাই ফিদেল কাস্ত্রো সবসময় ব্যক্তিপূজার বিরুদ্ধে ছিলেন। তার ইচ্ছা অনুসারেই কোনো ভাস্কর্য বা সড়কের নামকরণ করা যাবে না। এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। খবর বিবিসির।

রোববার দেশটির বিপ্লবের জন্মভূমি সান্তিয়াগো শহরে ফিদেল কাস্ত্রোকে শেষ বিদায় জানাচ্ছেন লাখো জনতা। এই শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাউল কাস্ত্রো।

সেখানে দেয়া এক ভাষণে তিনি প্রয়াত ভাইয়ের সমাজতান্ত্রিক নীতি আমৃত্যু চালিয়ে নেয়ার শপথ করেন।

এ সময় রাউল ঘোষণা দেন, সদ্যবিদায়ী বিপ্লবী নেতা ফিদেলের অনুরোধে তার নামে কিউবায় কখনও কোনো স্থাপনা অথবা ভাস্কর্য গড়া হবে না।

তিনি আরও জানান, পদযাত্রার পর কিউবার স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের জন্য নির্মিত সান্তা ইফিজেনিয়া সমাধিক্ষেত্রে ফিদেলকে শেষশয্যায় শায়িত করা হবে।

এ সমাধিক্ষেত্রেই শায়িত আছেন ফিদেলের বন্ধু ও কিউবার স্বাধীনতা যুদ্ধের আরেক বিপ্লবী নেতা হোসে মার্টি।

এর আগে শনিবার কিউবার বিপ্লবের অন্যতম এ নেতার শবদেহ দেশটির রাজধানী হাভানা থেকে রওনা হয়ে পথে পথে মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় চার দিনের সফর শেষে সান্তিয়াগোতে পৌঁছায়।

সান্তিয়াগোতে ফিদেল কাস্ত্রোর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে বিশ্বনেতাদের মধ্যে ভেনিজুয়েলা, নিকারাগুয়া, বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টসহ শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা যোগ দিয়েছেন।

আর ও রয়েছেন, ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফ ও লুলা ডি সিলভা, কাস্ত্রোর বন্ধু আর্জেন্টিনার ফুটবল তারকা দিয়েগো মারাদোনা।

গত ২৫ নভেম্বর ৯০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ফিদেল। পরদিন তার ইচ্ছানুযায়ী শবদাহ করা হয়। এরপর দেহভস্ম ঘোরানো হয় সারা দেশে।

২০০৬ সালে স্বাস্থ্যগত কারণে বিপ্লবী সঙ্গী ছোট ভাই রাউল কাস্ত্রোর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে অবসর জীবনযাপন করছিলেন ফিদেল।



মন্তব্য চালু নেই