কারাগারে খাট, চেয়ার-টেবিল, পত্রিকা পাচ্ছেন এমপি লিটন

গাইবান্ধা জেলা কারাগারে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মো. মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। জেলকোড অনুযায়ী পেয়েছেন প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা। এমন তথ্য দিয়েছেন জেল সুপার মো. মাহবুব আলম।

শিশু সৌরভকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা ও স্থানীয় হাফিজার রহমানের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় এমপি লিটনকে বুধবার রাজধানীর উত্তরায় তার বোনের বাসা থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরদিন তাকে গাইবান্ধার একটি আদালতের বিচারক মো. মইনুল হাসান ইউসুফ কারাগারে পাঠান।

জেল সুপার মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘লিটন এমপি হিসেবে প্রথম শ্রেণীর বন্দীর সুবিধা পাচ্ছেন। তার কক্ষে খাট, চেয়ার ও টেবিল দেওয়া হয়েছে। ডিভিশন অনুযায়ী একটি জাতীয় পত্রিকাও পাচ্ছেন তিনি। এ ছাড়া কারাগার থেকে সরবরাহ করা খাবারই দেওয়া হচ্ছে তাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তার সেবার জন্য একজন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে সুস্থ আছেন।’

এদিকে এমপি লিটনের অন্যতম আইনজীবী এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু টেলিফোনে বলেন, ‘শিশুকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এমপি লিটনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় ৩০৭ ও ৩২৬ ধারা রয়েছে। রবিবার দুপুরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আমলি আদালতে তার জামিনের জন্য আবেদন করা হতে পারে’।

তিনি আরও বলেন, ‘আদালত সৌরভকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১৪ ডিসেম্বর ও হাফিজার রহমানের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট মামলায় ৮ ডিসেম্বর হাজিরার তারিখ নির্ধারণ করেছে।’

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্ধ ইউনিয়নের গোপালচরণ এলাকায় ২ অক্টোবর ভোরে এমপি লিটনের লাইসেন্স করা পিস্তুলের গুলিতে আহত হয় শিশু সৌরভ। সৌরভ গোপালচরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। শিশুটি এখন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় সৌরভের বাবা বাদী হয়ে ৩ অক্টোবর এমপি লিটনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

এ ছাড়া এমপি লিটনের বিরুদ্ধে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ৬ অক্টোবর সুন্দরগঞ্জ থানায় আরও একটি মামলা করেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর সাহাবাজ গ্রামের হাফিজার রহমান। দ্য রিপোর্ট



মন্তব্য চালু নেই