আফগানিস্তানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আইএস’র দায় স্বীকার
ফের জোরালো বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন ৮০ জন। আফগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে রাজধানী বোমায় আহত হয়েছে আরও দুই শতাধিক ব্যক্তি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, শনিবার সকালে কয়েক হাজার মানুষ দেহমাজাং সার্কেলে জড়ো হয়েছিলেন। হঠাৎই পর পর দু’টি জোরাল বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের পরই দায় স্বীকার করে কথিত ইসলামিক স্টেট আইএস। তবে তালেবান এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
জাতিগত সংখ্যালঘু, হাজারা সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার সদস্যের ওই সমাবেশকে লক্ষ্য করে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
পূর্ব আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট’র উপস্থিতি থাকলেও রাজধানী কাবুলে কোনো হামলা চালানোর দায়ী তারা আগে স্বীকার করেনি।
আইএস-এর সঙ্গে জড়িত বার্তা সংস্থা আমাক জানিয়েছে, দুজন আইএস যোদ্ধা কাবুলে শিয়াদের এক বিক্ষোভ সমাবেশে তাদের বেল্টে বাঁধা বিস্ফোরক ফাটায়।
আফগান গোয়েন্দা সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, আবু আলি নামে আইএসের একজন অধিনায়ক নানগারহার প্রদেশ থেকে তিনজন জিহাদিকে কাবুলে পাঠিয়েছে হামলা চালানোর জন্য।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একজন হামলাকারী সফলভাবে তার বেল্ট থেকে বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম হয়। দ্বিতীয় হামলাকারী বিস্ফোরণ ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তৃতীয়জন মারা গেছে।
কাবুলে ডেমাজাং চত্বরে শিয়া হাজারা সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার মানুষ নতুন বিদ্যুত লাইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল।
তাদের প্রতিবাদের কারণ ছিল নতুন বিদ্যুতের লাইন তাদের বেশিরভাগ মানুষ যেসব এলাকায় বাস করেন সেসব এলাকার বাইরে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলে এর সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।
একজন বিক্ষোভকারী, আরিফ আলি বলেছেন কয়েক দশক ধরে হাজারা সম্প্রদায়ের মানুষ কোণ ঠাসা হয়ে রয়েছে। তাদের অর্থনৈতিক সমস্যা, দারিদ্র এবং বৈষম্য রয়েছে। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিতদের অবশ্যই এই ব্যক্তিদের কথা শুনতে হবে এবং তাদের আলোচনায় আহ্বান জানাতে হবে।
প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বলেছেন তিনি এ ঘটনায় ‘গভীরভাবে মর্মাহত’। তিনি বলেছেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে।
জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে তিনি রোববার জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছেন।
মন্তব্য চালু নেই