‘কানেকটিভিটির ফলে উপকৃত হবেন নারী উদ্যোক্তারাও’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী জানিয়েছেন ভারতের সঙ্গে কানেকটিভিটি বিষয়ে যেসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তাতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা পার্শ্ববর্তী দেশে বানিজ্য করার সুযোগ পাবেন। এছাড়া বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তরাও একই সুযোগ পাবেন।

মঙ্গলবার দুপুরে ব্র্যাক সেন্টার ইন-এ নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দেওয়ার মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা উন্নয়ন শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মোহাম্মদ আলী এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সেলিমা আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অন্যদের মধ্যে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, ভারতীয় হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি বিজয় সিলভারাজ, এশিয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ হাসান এম মজুমদার বক্তব্য রাখেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কানেকটিভিটির ফলে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। এতে এই অঞ্চলের জনগনের মধ্যে পারষ্পারিক সুসম্পক গড়ে উঠবে। এরফলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও নারী উদ্যোক্তারাও উপকৃত হবেন।

তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে ভারতসহ অনেক উন্নত দেশের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। নারীরা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে গিয়ে কাস্টমস ও ভিসা সংক্রান্ত যেসব সমস্যা মুখোমুখি হচ্ছেন তা থাকবেই। তবে এগুলো মোকাবেলা করেই নারীদের এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্বের সব দেশেই এধরনের জটিলতার সম্মুখিন হতে হয় বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, নারী উদ্যোক্তারা কাস্টম ও ভিসা জনিত যে সমস্যা কথা বলেছেন, তা সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করা হবে। কাস্টম হয়রানি রোধে আগামীতে বাংলাদেশ-ভারতের চেকপোস্টগুলোতে নারী কর্মকতা নিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। তার ধারাবাহিকতায় নারীর শিক্ষা,স্বাস্থ্যসহ সামগ্রিক উন্নয়নে নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামীতে সমাজের সবক্ষেত্রে নারীদের অংগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নারীর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে সেনা, বিমান, নৌ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে অধিক হারে নারীদের নিয়োগ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যায়লগুলোতে নারীদের উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সে হিসাবে বলা যায় নারীরা সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা পাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে মাতলুব আহমাদ আঞ্চলিক ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নেপালের মতো ভারতকে পাঁচ বছরের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার আহ্বান জানান। এতে সব দেশই লাভবান হবে। এছাড়া আগামীতে বাণিজ্য প্রতিনিধি দলে ৩০ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে সেলিমা আহমাদ উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে নারীদের ৫০ শতাংশ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। এছাড়া ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্টে নারীদের স্টল বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই