কাজের জন্য ‘অস্বাভাবিক’ অফার দেয়া হয়

খুব বেশি বয়স হয়নি তানজিনা লাকির। বেশিদিন হয়নি মিডিয়া ক্যারিয়ারেরও। তবে এই স্বল্প সময়ে নিজের কাজ, পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে অর্জন করেছেন আস্থা। অনেকেই বলছেন অতিদ্রুত মিডিয়ায় নিজের দক্ষতার প্রমাণ দেখিয়েছেন লাকি। কিন্তু তানজিনার কষ্ট অন্যত্র।

বলছেন, ‘কাজের জন্য দিন-রাতে কল আসে তার কাছে। কিন্তু সমস্যার কারণে সায় না দিয়ে না করে দিতে হয়।’

কিন্তু কী সেই সমস্যা? লালমাটিয়া মহিলা কলেজে অর্থনীতিতে অনার্স পড়ুয়া এই অভিনেত্রীর উত্তর- ‘সমস্যা হচ্ছে অনেক কাজের অফার আসে। কিন্তু বিনিময়ের অভাবে সেগুলো আর করা হয়ে ওঠেনি। এই যে ক’দিন আগেও কক্সবাজার ঘুরে এসেছি। তখনো ফোন এসেছে কাজের। কিন্তু প্রায় সবার তাগিদ বিনিময়। এভাবে কি হয় বলেন? একটা বড় স্বপ্ন নিয়ে, প্রত্যাশা নিয়ে আনন্দভূবনে কাজ করবো বলে এসেছি। পরিবারের রয়েছে অসামান্য সমর্থন ও সহযোগিতা। কিন্তু এসব মানুষদের অস্বাভাবিক অফার আর আচরণের কারণে দিনেদিনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি।’

তাহলে কী ভাবছেন? জবাবে লাকি বলেন, ‘কী আর। মাঝে মাঝে মনে হয় বিদেশ চলে যাবো। এরপর টাকা-পয়সা কামিয়ে নিজেই প্রযোজনায় নামবো।’

২০১২ সালে অনলাইন রেডিতে কাজ শুরু করেন লাকি। এরপর নিজের প্রচেষ্টায় ফটোশুট করেন। ওই বছরের মাঝামাঝিতেই সুযোগ পান একুশে টিভিতে বিনোদনের বিশ্ব অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি তিনি। একে একে আরসি কোলা, আরএফএলর বিজ্ঞাপন করেছেন। সিরিয়াল নাটক করেছেন হাফডজনের বেশি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ‘বিশেষ দ্রষ্টব্য’, ‘হাসিবাড়ি’, ‘নাগরিক’, ‘রসিকচান’, ‘টিয়ার শেষ পর্ব’, ‘কেবলি দৃশ্যের জন্ম হয়’, ‘পরিণতি’ ইত্যাদি।

বাদ যায়নি মিউজিক ভিডিও। তানজিনা লাকি জানান, সর্বশেষ কাজ করেছেন পারভেজ আমিনের পরিচালনায় ‘কেবলি দৃশ্যের জন্ম হয়’। এতে তার বিপরীতে রয়েছেন রওনক হাসান।

এদিকে সাইন করেছেন একটি চলচ্চিত্রেও। সামাজিক গ্রামের পটভূমিতে নির্মিতব্য এ ছবির ব্যাপারে আর বেশিকিছু বলতে চাননি লাকি। শুধু বলেন, ‘চমক।’ কিন্তু কী চমক নিয়ে আসছেন লাকি, তারই প্রতীক্ষায় থাকছে লাকির অভিনয়প্রেমীরা।



মন্তব্য চালু নেই