কলারোয়ায় মালয়েশিয়াগামী ১২ যুবকের বুক চিরে হত্যা, স্বজনের আহাজারি

কলারোয়ায় দালাল চক্রের কপ্পড়ে পড়ে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পথে প্রাণ দিলো এক  নিরহ ব্যক্তিসহ ১২ যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে, কলারোয়ার কয়লা ইউনিয়নের কুমারনল গ্রামে। গতকাল সোমবার বেলা ১২টায় কলারোয়া রিপোর্টাস ক্লাবে নির্মম করুন মৃত্যুর ঘটনা জানাতে ছুটে আসে নিহতের স্ত্রী রেশমা খাতুন (২৮) সাথে থাকা  পুত্র তামিম ইসলাম (২), কন্যা সুমাইয়া খাতুন (১১)। এসময় নিহতের বৃদ্ধ পিতা আনছার আলী সরদার,  মাতা আছিয়া বেগম, ভাই রেজাউল ইসলাম সরদার ও রফিকুল ইসলাম সরদার। তারা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, গত ২মাস পূর্বে শফিকুল সরদার (৩৫) কে মালয়েশিয়ায় ভাল বেতনে চাকুরি দেওয়ার জন্য বাড়ী থেকে নিয়ে যায় তারা। পরে দালাল উপজেলার মুরারিকাটি গ্রামের মৃত ছদর মোড়লের পুত্র সিরাজুল ইসলাম কানা, কয়লার দালাল মুনছুর, মুরারিকাটির আজাদ সানা কৌশলে নদী পথে অবৈধ ভাবে দালালেরর মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার পথে শফিকুল ইসলাম ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে  এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে একটি রুমে নিয়ে আটক রেখে। তাকে কোন ওষুধ না দিয়ে অধ্যমৃত্যু প্রায় সে সময় শফিকুল সরদারের পেট কেটে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এসময় অনেক বিদেশগামী ব্যক্তি বিষয়টি দেখে নদীতে ঝাপ দিয়েও জীবণ রক্ষা করতে পারেনি। বর্তমানে ১২জন ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে বলে তারা জানায়। শফিকুল ইসলাম সরদার মারা যাওয়ার ঘটনাটি নিশ্চিত করে ঢাকার দালাল পলাশ বলেন আমরা নিহত শফিকুল ইসলামের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়েছি। এদিকে অন্য ১২জন ব্যক্তি নিখোজ থাকায় বিদেশগামী ব্যক্তির পরিবারবর্গ ছেলে ও স্বামীর সন্ধানে বিভিন্ন লোকের দারগ্রস্থ হচ্ছে। এদিকে দুটি বাচ্চা নিয়ে অসহাত্ব জীনব যাপন করছে নিহত শফিকুল সরদারের স্ত্রী রেশমা খাতুন, কন্যা সুমাইয়া, পুত্র তামিম সরদার। এঘটনায় কলারোয়া থানায় শিশু তামিম সরদার তার পিতা ফিরে পাওয়ার দাবীতে মায়ের কোলচেপে  থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বর্তমানে অভিযোগটি কলারোয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সোয়েব আলী তদন্ত করছেন।

 

কলারোয়া সীমান্তে শাড়ি, চাদরসহ বিভিন্ন পণ্য উদ্ধার

সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা পৃথক অভিযান চালিয়ে ভারতীয় শাড়ি, চাদর, ফেনসিডিল, পলিথিন, জিরা ও বৌটুপি উদ্ধার করেছে। তবে উদ্ধারের কোনো ঘটনায় বিজিবি সদস্যরা কাউকে আটক করতে পারেনি। মাদরা বিওপি’র সুবেদার শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তাঁর নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা রোববার রাতে সীমান্তবর্তী ভাদিয়ালি গ্রাম থেকে ভারতীয় ১৬৭ কেজি পলিথিন ব্যাগ ও ২৫ কেজি জিরা এবং সোমবার সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার রুদ্রপুর গ্রাম থেকে ৩০ পিস ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার করেন। শাড়িসহ উদ্ধারকৃত পণ্যের আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। অপরদিকে কাকডাঙ্গাা বিওপি’র নায়েব সুবেদার বিল্লাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তাঁর নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা রোববার রাতে কাকডাঙ্গা সীমান্তের তালসারি নামক স্থান থেকে ভারতীয় ১৬ পিস স্বর্ণ কাতান শাড়ি, ৮ পিস সাধারণ শাড়ি, ৪৭ পিস চাতর ও ৩০ পিস বৌটুপি এবং সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে সীমান্তবর্তী কাকডাঙ্গা গ্রামের একটি মাঠ থেকে ১২০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেন। ফেনসিডিলসহ উদ্ধারকৃত পণ্যের আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা।

 

কলারোয়ার চান্দুড়িয়া খাটাল চালুর দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
সাতক্ষীরার কলারোয়ার সীমান্তবর্তী চান্দুড়িয়া গরুর খাটালটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ৩ গ্রামের শতাধিক মানুষ। বিশেষ করে এই গরু আনা-নেওয়া ও বহন কাজে জড়িত শ্রমজীবীদের এখন জীবিকা বিপন্নের পথে। খাটালটি বর্তমানে জনৈক রহমত উল্লাহ পরিচালনা করতে উদ্যোগী হলেও সেখানে কোনো গরু আসছে না। তাই খাটালের ওপর জীবন-জীবিকা নির্বাহ করা মানুষ চাইছেন, পূর্বের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের পরিচালনায় খাটাল দেয়া হলে আবারও খাটালটিতে গরু উঠতো। সরকার লাভ করতো বিপুল রাজস্ব আয়। আবার নির্র্ভরশীল মানুষজন ফিরে পেতেন জীবিকা নির্বাহের অবলম্বন। রোববার কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এমনই দাবি করেছেন ভূক্তভোগী শতাধিক মানুষ। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, চান্দুড়িয়ার খাটালটি নাছিরউদ্দিন, কাসেম বদ্দির তত্ত্বাবধানে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিলো। প্রতিদিন এই খাটালে ১৫ শ’ থেকে ২৫শ’ গরু উঠতো। সীমান্তবর্তী ৩ গ্রামের শতাধিক মানুষ গরু আনা-নেওয়া ও বহন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু গত ১০ ডিসেম্বর অজ্ঞাত কারণে খাটালটি বন্ধ হয়ে যায়। খাটালটি পরিচালনার উদ্যোগ নেন একই এলাকার জনৈক রহমত উল্লাহ। এরপর থেকে খাটালে গরু উঠছে না। খাটালের উপর নির্ভরশীল মানুষজন জীবিকা হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন। নাছির উদ্দিন পরিচালিত খাটাল বন্ধ হওয়ায় বন্ধ হচ্ছে গরু আসা। আর সরকার বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে। স্মারকলিপিতে স্বাক্ষরদানকারীদের দাবি, নাছির উদ্দিনের খাটালটি চালু হোক। সেই সাথে এলাকার খাটাল নির্ভর মানুষজন ফিরে পাক জীবিকা নির্বাহের পথ। জানা গেছে, স্মারকলিপির অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরও প্রদান করা হয়েছে।

 

কলারোয়ার খোর্দ্দ বহুমূখি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে ১৪ লাখ টাকা আতœসাতের ঘটনায় বিভিন্ন দপ্তরে গণদরখাস্ত
গতকাল সোমবার সকালে কলারোয়ায় এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে ১৪ লাখ টাকা আতœসাতের ঘটনায় এলাকাবাসী গণস্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্র বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করেছে। জানা গেছে, কলারোয়া উপজেলার ১১ নং দেয়াড়া ইউনিয়নের খোর্দ্দ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পুরণ বাবদ অতিরিক্ত ফিস আদায় করছে। যাহা শিক্ষা বোর্ডের ঘোষণা পরিপন্থী। ফিসের পরিমান ২,৪০০ থেকে ২,৮০০ টাকা (বিভাগ অনুযায়ী)। তাহা ছাড়া বর্তমান কমিটি কর্তৃক সার্কুলার দেওয়া শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময় দরখাস্তকারী প্রার্থীদেরকে চিঠি না দিয়ে বিগত ২/১২/১৪ তারিখে মনিরামপুরের চাকলা গ্রামের জনৈক তৌহিদুর রহমানকে সহকারী শিক্ষক (বিজ্ঞান) হিসাব গোপনে নিয়োগ দিয়েছেন। তাহা ছাড়া বর্তমান কমিটির সভাপতি খোর্দ্দ বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব সম্পত্তিতে নির্মিত একতলা মার্কেটের উপর ৪০,০০০টাকা হারে একটি করে পজেশন এলাকার জনগণের নিকট হস্তান্তর করে ঘর নির্মাণ করার সর্তে। সর্ব মোট ৩৫টি পজেশন বিক্রীত টাকার পরিমান ১৪ লক্ষ টাকা। এই টাকার কোন হিসাব না পাওয়ায় এলাকাবাসী ও অভিভাবক সদস্য মেহেদী হাসান, মিল্টন কবীর, ফরিদ হাসান, আঃ রশিদ, ওবায়দুল, রবিউল ইসলাম, আকছেদ আলী, বিলকিস বেগম, ছবেদ আলীসহ একাধীন ব্যক্তি সঠিক তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শিক্ষামন্ত্রী, সচিব শিক্ষা মন্ত্রালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), জেলা প্রশাসক, পরিদর্শক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে গণস্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছে।

কলারোয়ায় পরিতাক্ত ৪টি তাজা বোমা উদ্ধার
গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় কলারোয়া থানা পুলিশ পরিতাক্ত অবস্থায় ৪টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে। এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের শুভংকরকাটি গ্রামের মাঠ পাড়ার শামছুর রহমানের সরিষা খেতে সোমবার ভোর রাতে ওই ৪টি বোমা কেবা কারা রেখে চলে যায়। সকালে সরিষা খেত এলোমেল দেখতে পেয়ে খেতের মালিক শামছুর রহমান এগিয়ে দেখেন খেতের মধ্যে ৪টি তাজা বোমা পড়ে আছে। পরে থানা পুলিশে খবর দিলে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিমের নেতৃত্বে এস আই সোয়েব আলী,এসআই হিমেল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই ৪টি বোমা উদ্ধার করে। এঘটনায় কলারোয়া থানায় একটি সাধারণ ডয়েরী হয়েছে।

কলারোয়ায় সামাজিক সুরক্ষা ফোরামের কর্মসূচি বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন
গতকাল সোমNews Photo22বার সকালে কলারোয়ায় হতদরিদ্র জনগণের সামজিক সুরক্ষার প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ প্রকল্পে পৌরসভা সামাজিক সুরক্ষা ফোরামের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় কলারোয়া অগ্রগতি সংস্থার অফিসে অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশনে সামাজিক সুরক্ষা ফোরামের সভাপতি শেখ ফারুক আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায়  উপস্থিত ছিলেন, সামাজিক সুরক্ষা ফোরামের কর্মকর্তা ও সদস্য সুলতানা কামরুন্নেছা, নার্গিস সুলতানা, রোমানা সুলতানা, শাহাজাহান আলী, দীপ আহম্মেদ, মীর হাবিবুর রহমান, আবুল হোসেন, নুর ইসলাম, শেখ কামরুল ইসলাম, সন্তোষ কুমার পাল, ছফুরা খাতুন, ফতেমা খাতুন, মিজানুর রহমান, জুলফিকার আলী ও শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই