কলারোয়ায় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি সম্পন্ন, ঝুঁকিপূর্ণ ১০টি

শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে কলারোয়ার ৩৫ টি পূজামন্ডপের সকল প্র¯তুতি এখন সম্পন্ন। সবখানেই চলছে উৎসবের আয়োজন। মন্ডপগুলোতে প্রতিমা শিল্পীরা প্রতিমার ওপর শেষ মুহূর্তের রঙের পরশ বুলিয়ে ইতোমধ্যে নজরকাড়া সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন। এখন আলোকসজ্জা ও তোরণ নির্মাণসহ পূজা উদযাপন পরিষদের কর্মকর্তাবৃন্দের দম ফেলার ফুরসত নেই। আগামি মঙ্গলবার যথাযথ মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মহাষষ্ঠী পালিত হবে। প্রশাসন ও পুলিশসহ আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে ব্যাপক তৎপর। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন সাহা ও সেক্রেটারী সিদ্ধেশ্বর চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, এবারও গোটা উপজেলায় ৩৫টি মন্ডপে পূজা হচ্ছে। যার মধ্যে ১০টি মন্ডপকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন তারা। কলারোয়া উপজেলার মধ্য সর্বাধিক ৫টি মন্ডপে পূজা উদযাপন হচ্ছে জয়নগর ইউনিয়নে। এরপর কলারোয়া পৌরসভা এলাকায় ৬টি। পৌর এলাকার মন্ডপগুলো হলো: তুলসিডাঙ্গা ঘোষপাড়া, তুলসিডাঙ্গা গোয়ালঘাটা, মুরারীকাটি উত্তর পালপাড়া, মুরারীকাটি দক্ষিণ পালপাড়া, গোপিনাথপুর ঘোষপাড়া ও ঝিকরা হরিতলা পূজামন্ডপ। ইউনিয়নের মধ্যে ১নং জয়নগর ইউনিয়নের ৫ টি মন্ডপ যথাক্রমে: উত্তর ক্ষেত্রপাড়া, খোরদো-বাঁটরা, জয়নগর মাতৃমন্দির, ধানদিয়া দাসপাড়া ও জয়নগর দক্ষিণ পাড়া দুর্গা পূজামন্ডপ। ২নং জালালাবাদ ইউনিয়ের ৪টি মন্ডপ হলো: বাঁটরা দাসপাড়া, কাশিয়াডাঙ্গা উত্তরপাড়া, কাশিয়াডাঙ্গা দক্ষিণপাড়া ও বৈদ্যপুর দাসপাড়া। ৩নং কয়লা ইউনিয়নের একমাত্র মন্ডপ হলো: কয়লা ঘোষপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির। ৪নং লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের ২ টি মন্ডপ হলো: লাঙ্গলঝাড়া ও খাসপুর। ৫নংকেঁড়াগাছি ইউনিয়নের ২ টি মন্ডপ হলো আইচপাড়া ও বাকসা দাসপাড়া। ৬নং সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের ২ টি মন্ডপ হলো: সোনাবাড়িয়া মঠমন্দির ও বেলি দাসপাড়া। ৭নং চন্দনপুর ইউনিয়নের ২ টি মন্ডপ হলো: চন্দনপুর ও মদনপুর। ৮নং কেরালকাতা ইউনিয়নের ২ টি মন্ডপ হলো: কেরালকাতা ঠাকুরবাড়ি ও সাতপোতা। ৯নং হেলাতলা ইউনিয়নের ২ টি মন্ডপ হলো: দামোদরকাটি ও শুভঙ্করকাটি মাতৃমন্দির। ১০নং কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের ৩ টি মন্ডপ হলো: রায়টা, শিবানন্দকাটি ও কুশোডাঙ্গা। ১১নং দেয়াড়া ইউনিয়নের ৩ টি মন্ডপ হলো: দেয়াড়া ঘোষপাড়া. পাকুড়িয়া ও পাটুলিয়া। ১২নং যুগিখালি ইউনিয়নের একমাত্র পূজামন্ডপ হলো বামনখালি বিনোদতলা সার্বজনীন পূজামন্ডপ। মনোরঞ্জন সাহা আরো জানান, এবার উপজেলা প্রশাসন সরকারের তরফ থেকে পূজা মন্ডপ উন্নয়নের জন্য মন্ডপ প্রতি ৪৫৪ কেজি চাল বরাদ্দ দিয়েছে। কলারোয়া পৌরসভার দক্ষিণ মুরারীকাটি পালপাড়ার মাস্টার দিলিপ কুমার সাংবাদিকদের জানান, তাদের মন্ডপে শেষ মুহূর্তের প্র¯তুতি সম্পন্ন ইতোমধ্যে করেছেন কর্তৃপক্ষ। কপিলমনির দক্ষ প্রতিমা শিল্পী প্রল্লাদ বাবু দিনরাত এ মন্ডপে কাজ করে দুর্গা, কার্ত্তিক, গণেশ, সরস্বতী ও লক্ষ্মীসহ ১০ প্রতিমার ওপর রঙের প্রলেপ দিয়ে মন্ডপের জৌলুস বাড়াতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। এবারও সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক ও আকর্ষণীয় আয়োজন করেছেন পৌর সদরের এই পূজা মন্ডপ কমিটি। এ মন্ডপের সভাপতি অর্জুন কুমার পাল ও সাধারণ সম্পাদক মাস্টার কৃষ্ণ পাল জানান, আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টিতে এবার ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এদিকে, পবিত্র ঈদুল আয্হা ও শারদীয় দুর্গাপূজায় আইন শৃংখলা রক্ষার্থে ইউএনও অনুপ কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে উপজেলা অডিটোরিয়ামে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম আমাদের প্রতিনিধি কামরুল হাসানকে জানান, ঈদ ও পূজাকে সামনে রেখে সার্বিক আইন শৃংখলা রক্ষার্থে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি সকলের আন্তরিক সহযোগিতাও কামনা করেন।



মন্তব্য চালু নেই