এমপি হান্নানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল

ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ও তার ছেলেসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ দাখিলে পর এ বিষয়ে আদেশের জন্য জন্য আগামী ১১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন।

এর আগে রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২০ সেপ্টম্বর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের জন্য ৩১ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এ বছরের ১১ জুলাই তদন্ত শেষে ৮ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেয়। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও লাশ গুম এর ৫টি অভিযোগ আনা হয়।

পরদিন এর ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপক্ষ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য দুই মাস সময় চাইলে আদালত ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করতে নির্দেশ দেয়। সেদিন মামলাটি শুনানির জন্য ওঠলে অভিযোগ দাখিলের জন্য নতুন করে আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল।

এই মামলায় আসামিদের মধ্যে সাংসদ হান্নান, হান্নানের ছেলে মো. রফিক সাজ্জাদ (৬২), ডা. খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদ (৬৯), মিজানুর রহমান মিন্টু (৬৩), মো. হরমুজ আলী (৭৩) গ্রেফতারের পর কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া আসামি মো. ফখরুজ্জামান (৬১), মো. আব্দুস সাত্তার (৬১) ও খন্দকার গোলাম রব্বানী (৬৩) পলাতক রয়েছেন।

২০১৫ সালের ১৯ মে ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন এ মামলা করেন। ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক পরে এজাহারটি গ্রহণ করে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।

২০১৫ সালের ১ অক্টোবর ট্রইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করলে ওইদিনই হান্নানকে গুলশানে তার বাড়ি থেকে এবং ছেলে রফিক সাজ্জাদকে ওই এলাকার একটি অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়। একইদিন গ্রেফতার করা হয় ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির, মিজানুর রহমান মিন্টু ও হরমুজ আলীকেও।



মন্তব্য চালু নেই