এবার ফেইসবুকের ওপর বেজায় চটেছেন তাসলিমা

এবার পৃথীবির অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের ওপর বেজায় চটেছেন বাংলাদেশ থেকে বিতারিত বহুল বিতর্কিত লেখিকা তাসলিমা নাসরিন। তিনি সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে ফেইসবুকের ওপরই এ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল;

ফেইসবুক এর হয়েছেটা কী? আমাকে লগ ইন করতেই দিচ্ছিল না, বলছে চার্লি হেবদো নিয়ে আমি যা লিখেছি তা ফেইসবুক এর লোকদের কাছে অফেন্সিভ মনে হয়েছে, এবং তারা আপসেট. তাই ফেইসবুক এ ঢুকতে হলে চার্লি নিয়ে যা লিখেছি তা আমাকে ডিলিট করতে হবে এবং নাকে খত দিতে হবে যে অমন কথা আর কস্মিনকালেও লিখব না।

আমার মনে হচ্ছে আমি সৌদি আরবে বাস করছি। ফেইসবুক কর্তা সৌদি আরবের ইসলামী সন্ত্রাসী কাম বাদশাহ, অথবা ফেইসবুক দখল করে নিয়েছে আইসিস বা বোকো হারাম সন্ত্রাসীর দল. ফেইসবুক এর ত্রিসীমানায় এখন আর যা কিছু চলুক, মত প্রকাশের স্বাধীনতা চলবে না।

এর আগে তাসলিমা নাসরিন চার্লি হেবদো বিষয়ে গত ২৮ জানুয়ারি দুপুরে একটি স্ট্যাটাস লিখেছিলেন, এবং ওই স্ট্যাটাসের পরিপ্রেক্ষিতেই ফেসবুক থেকে কোন সতর্ক বানী দেয়ায় আজ তিনি ফেসবুকের ওপর বেজায় চটে গিয়ে এ স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন। এর আগে আগে চার্লি হেবদো নিয়ে তাসলিম যে স্ট্যাটাসটি লিখেছিলেন সেটি হুবহু তুলে ধরা হল:

Untitled6

ইজরাইলের বিদেশ মন্ত্রী বলেছেন ইজরাইলের সবাইকে বিনে পয়সায় শার্লি আবদু বিলোবেন. বেশ তো. আমি বললাম, উনি যেন শার্লি আব্দুর সঙ্গে একটা করে উলঙ্গ মুসার কার্টুন সেঁটে দেন. শুনে টুইটারে বেশ কিছু মুসলিমবিরোধী লাফিয়ে উঠলো, কেন মুসার উলঙ্গ কার্টুন দেবে, মুসার কার্টুন দেখলে কেউ তো মেরে ফেলে না, আর মুসার প্রচুর কার্টুন আছে নেটে. আমি বললাম তবে তো ব্যাপারটা আরো সহজ. কার্টুন কালেক্ট করতে বেগ পেতে হবে না আর নিশ্চিন্তে সেঁটে দেওয়া যাবে।

আমার কথা শুনে গা জ্বললো অনেকের. বলল আমি নাকি ইহুদি বিরোধী আর ভেতরে ভেতরে পুরো ইসলাম পন্থী. তাদের মূল বক্তব্য, মুসলিমরা ছাড়া দুনিয়ার সবাই বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। আমি বললাম অমুসলিমদের পয়গম্বর আর দেব দেবীকে উলঙ্গ করলে কী দাঁড়ায়, একটু পরখ করে দেখ. কিছুই দাঁড়াবে না বলার পর মনে করিয়ে দিলাম সরস্বতীকে উলঙ্গ এঁকে কী অবস্থা হয়েছিল মকবুল ফিদা হোসেনএর, বহুঈশ্বরবাদী ভারতেও কী ভিশন অসহিষ্ণুতা! খুন হয়নি, কিন্তু অপদস্থ তো হয়েছে. কেবল খুন করলেই বুঝবে ওরা বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, হেনস্থা করলে বুঝবে না?

মুসলিম দেশগুলো দোজখ, এর মানে কিন্তু এই নয় যে অমুসলিম দেশগুলো বেহেস্ত।



মন্তব্য চালু নেই