এবার কুরবানিতে যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করল ভারত

গবাদি পশুর হত্যা এবং পরিবহণের উপরে বিধিনিষেধ আরোপ করে রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠাল কেন্দ্র। বকর ইদ বা কুরবানির ইদে অবাধে গরু, বাছুর, উট এবং অন্যান্য পশুর নিধন যেন না হয়। নির্দেশ ভারতীয় প্রাণী কল্যাণ বোর্ডের। অবৈধ উপায়ে গবাদি পশুর পরিবহণ যেন না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্যও নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে রাজ্যে রাজ্যে।

বকর ইদ মুসলিমদের সবচেয়ে বড় দুই উৎসবের অন্যতম। গবাদি পশু, উট, দুম্বা ইত্যাদি বিভিন্ন পশুর কুরবানি দেওয়া হয় এই ইদে। গো-রক্ষা এজেন্ডা নিয়ে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবার যে ভাবে গোটা দেশে হইচই শুরু করেছে, তাতে কুরবানির ইদের আগে গো-হত্যার উপর কঠোর বিধিনিষেধ চাপানো প্রত্যাশিতই ছিল। নবান্ন সূত্রের খবর গত ৪ জুলাই-ই রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং রাজ্য প্রাণীসম্পদ বিভাগের কর্তাদের চিঠি পাঠিয়েছেন ভারতীয় প্রাণী কল্যাণ বোর্ডের সচিব এম রবিকুমার। বকর ইদের কথা উল্লেখ করেই চিঠিটি লেখা হয়েছে। বোর্ডের সচিব লিখেছেন:

98765

শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, সবক’টি রাজ্য সরকারকেই ভারতীয় প্রাণী কল্যাণ বোর্ড এই চিঠি পাঠিয়েছে। রাজ্য সরকারগুলিকে কেন্দ্রীয় বোর্ডের স্পষ্ট নির্দেশ, কোথাওই কুরবানির জন্য উট নিধন করতে দেওয়া দেওয়া যাবে না। যে সব রাজ্যে গো-হত্যা রোধ আইন বলবৎ রয়েছে, সেই সব রাজ্যে গরুর কুরবানিও চলবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুরবানির ইদের আগে যাঁরা অবৈধ ভাবে পশুর পরিবহণ করছেন এবং ইদের দিন যাঁরা আইন ভাঙবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কী ব্যবস্থা সরকার নিল, তাও বিশদে কেন্দ্রীয় বোর্ডকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।

কেন্দ্রের এই চিঠির প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকারও। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগে ভারতীয় পশু কল্যাণ বোর্ডের চিঠিটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে রাজ্য সরকারের নিজস্ব নির্দেশ সম্বলিত চিঠিও। কেন্দ্রীয় বোর্ডের চিঠিতে যে ভাবে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে, সেই অনুসারেই যেন কাজ হয়। নির্দেশ রাজ্য প্রাণীসম্পদ দফতরের।

নবান্ন সূত্রের খবর, কুরবানির ইদে এই রকম চিঠি প্রতি বছরই আসে। তবে এ বার পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা। সঙ্ঘ তথা বিজেপি তো বটেই, কেন্দ্রীয় সরকারও গো-রক্ষার নীতিতে এখন বেশ সক্রিয়। তাই ইদের প্রায় আড়াই মাস আগে রাজ্য সরকারের সচিবালয়ে পৌঁছে গিয়েছে চিঠি। পশু হত্যা বিরোধী আইন এবং আদালতের বিভিন্ন রায়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ উল্লেখ করা হয়েছে সেই চিঠিতে। আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও একাধিক বার লেখা হয়েছে।-আনন্দবাজার পত্রিকা



মন্তব্য চালু নেই