এতো গণকবর পাবার পরও কেন মালয়েশিয়ার সাথে মার্কিন সখ্য ?
যুক্তরাষ্ট্র-মালয়েশিয়াসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় সীমান্ত এলাকার আরও ১০টি দেশের মধ্যে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ নিয়ে আলোচনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন সরকার। তবে সম্প্রতি ওবামা প্রশাসনের জন্য সে চেষ্টায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মালয়েশিয়ার নির্মম মানবাধিকার পরিস্থিতির রেকর্ড। গেলো সপ্তাহে ‘ক্রীতদাস ব্যবস্থায়’ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন দেশগুলোকে এ বাণিজ্য চুক্তির আওতাভুক্ত না করার সীমাবদ্ধতা দিয়ে একটি আইন পাশ করেছে মার্কিন সিনেট। তবে অনুমোদিত বিল থেকে এ ধরনের ভাষা মুছে ফেলতে চায় হোয়াইট হাউজ। কিন্তু কেন?
মার্কিন সংবাদমাধ্যম হাফিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য শিপিং রুট হিসেবে মালাক্কা প্রণালি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আর এ গুরুত্বপূর্ণ প্রণালির কাছে অবস্থান হওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে মালয়েশিয়া। আর সে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কারণেই কী সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় মানব পাচার শিবির আর গণকবরের সন্ধান পাওয়ার পরও দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে অনীহা নেই ওবামা প্রশাসনের?
সম্প্রতি রয়টার্সে প্রকাশিত মালয়েশিয়ার মানব পাচার শিবিরের ভয়াবহতার বেশ কয়েকটি ছবির উল্লেখ করে হাফিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে, এ কোন ধরনের দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চায় যুক্তরাষ্ট্র?
মালয়েশিয়ার মানব পাচার শিবিরের সেরকম কিছু ছবি দেখে নেয়া যাক-
মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলে বুকিত ওয়াং বার্মায় থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছের একটি পরিত্যক্ত মানব পাচার শিবির এটি। আর মিবিরের কাছে পড়ে আছে মানুষের হাড়।
পাচার শিবিরের কাছে সতর্ক অবস্থানে মালয়েশীয় পুলিশ
পরিত্যক্ত পাচার শিবিরে মানুষের উপস্থিতির কিছু চিহ্ন। শিবিরের কাছাকাছি থেকে স্যান্ডেল, কাপড়-চোপড়সহ এসব চিহ্ণ উদ্ধার করা হয়।
মানব পাচার শিবিরের গণকবর থেকে উদ্ধার হওয়া মানুষের খন্ড-বিখন্ড দেহগুলো ব্যাগে ভরে তদন্তের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন ফরেনসিক বিভাগের কর্মকর্তারা।
পরিত্যক্ত মানব পাচার শিবির পর্যবেক্ষণ করছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা
পাচার শিবিরের কাছে গাছের গুঁড়িতে ঝুলন্ত এ কাপড়গুলো জানান দেয় যে ক’দিন আগেও এখানে ছিল মানব উপস্থিতি
একের পর এক মরদেহ তুলে আনছেন ফরেনসিক বিভাগের কর্মীরা। আর তা দেখেই হয়তো নিথর হয়ে পড়েছেন এ পুলিশ সদস্য।
মন্তব্য চালু নেই