উত্তর কোরিয়া নিয়ে চীনকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে আসতে চীন উদ্যোগ নেবে বলেই আশা করছে ওয়াশিংটন। তবে তা না হলে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে হলেও বিষয়টিতে এগিয়ে আসবে। রোববার ‘ফিন্যান্সিয়াল টাইমস অফ লন্ডন’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরিয়ে আনতে একতরফা হলেও যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে উত্তর কোরিয়ার মিত্র বলে পরিচিত চীন বিষয়টির সুরাহা করবে বলেই তিনি মনে করেন।
‘যদি চীন এগিয়ে না আসে’ সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন ‘সেক্ষেত্রে আমাদেরই উদ্যোগ নিতে হবে।’

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালে বিশ্বের শক্তিমান দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, অন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে কিম জং উনের নেতৃত্বাধীন উত্তর কোরিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি পর্যবেক্ষক সংস্থা সাবধান করে জানিয়েছে, আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে পিয়ংইয়ং। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত দু’বছরে দেশটি ৫টি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।

এ বিষয়ে ট্রাম্প এমন সময়ে মন্তব্যটি করলেন যখন চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা রয়েছে। কেননা, চলতি সপ্তাহেই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্র সফরে আসছেন।

আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের সুবিশাল ‘মার এ লোগো’ রিসোর্টে থাকবেন তিনি। সেখানেই শক্তিমান দেশের দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন, উত্তর কোরিয়ার প্রতি চীনের গভীর প্রভাব রয়েছে। এখন দেশটির বিষয়ে বেইজিং কোনো প্রকার সাহায্য করতে রাজি হবে কি হবে না সেটা তাদের ব্যাপার। যদি তারা সাহায্য করে তবে তা সবার জন্যই মঙ্গলজনক হবে। অন্যথায় সেটি কারও জন্যই সুখকর হবে না।

অপর এক সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হেলি জানান, উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে চীন পদক্ষেপ নেবে এমনটাই আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র। কেননা, উত্তর কোরিয়ার বিপদজনক কর্মকাণ্ড থেকে যদি কোনো দেশ বিরত করতে পারে সেটি চীন!

সংবাদমাধ্যম এবিসি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিকি জানান, একারণেই চীনকে উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানানো হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই