ভূমি একোয়ারে জটিলতার কারনে অপসারিত হচ্ছে না সংযোগ সড়কের স্থাপনা।

উজিরপুরের সাতলা ব্রীজের নির্মান কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ না হওয়ার আশংকা !

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার কঁচা নদীর উপর নির্মানাধীন সাতলা ব্রীজের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে গেলেও এখনো সরকারের ভূমি একোয়ারে বিলম্ব হওয়া,ব্রীজের দুই পারে এপ্রোচ সড়কে জমির মালিকদের স্থাপনা গুলো অপসারনে জটিলতা সৃষ্টি,শ্রমিক সংকট,নির্মান সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি,প্রয়োজনীয় উপকরনের দুস্প্রাপ্যতা ও মাঝে মাঝে প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মান কাজের শেষ নাও হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মহিউদ্দিন বিল্ডার্স ইঞ্জিানয়ারিং লি:,(এমবিইএল)।

উজিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো: ইউনুচ আলী জানান দক্ষিন-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সি’র (জাইকা) অর্থায়নে ও স্থানিয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্বাবধানে ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর মেসার্স মহিউদ্দিন বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ারিং লি: (এম,বি,ই,এল) কঁচা নদীতে সাতলা ব্রীজের নির্মান কাজ শুরু করেছে। সবকিছ সঠিক ভাবে চললে ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ ব্রীজ নির্মান কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এমবিইএল’র প্রজেক্ট ম্যানেজার বিজন কৃষ্ণ বাড়ৈ জানান নির্মানাধীন বরিশাল টু গোপালগঞ্জ সড়কে কঁচা নদীতে ২টি এ্যাপারমেন্ট ও ১৩ টি মূল পিলাড়ের উপর ৫৬০ মিটার সাতলা ব্রীজের নির্মানের জন্য জাইকা ৬৮ কোটি ৪২লক্ষ ৮৯হাজার ১৫৭টাকা বরাদ্ব করলে এমবিইএল নির্মান কাজের দায়িত্ব পায়,২০১৩ সালের নভেম্বরে তারা কাজ শুরু করলেও ভূমি একোয়ার,শ্রমিক সংকট,প্রয়োজনীয় উপকরনের দুস্প্রাপ্যতা সহ বিভিন্ন কারনে নির্মান কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে, নদীর পূর্ব পাড়ের পিলাড় নির্মান শেষ করে বর্তমানে নদীর মধ্যে পিলার নির্মানের কাজ চলছে,এর পরে নদীর পশ্চিম পাড়ের পিলাড় ও ২ পাড়ে সংযোগ সড়ক নির্মান করতে হবে। বরিশাল -২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট তালুকদার মো: ইউনুস সম্প্রতি নদীর মধ্যে পিলাড় নির্মান কাজের পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এছাড়া এলজিইডি’র প্রকল্প পরিচালক (সাতলা ব্রীজ)নূর মোহাম্মদ,বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রুহুল আমিন খান নিয়মিত ভাবে ব্রীজ নির্মান কাজের পরিদর্শন ও সঠিক মান নিয়ন্ত্রনের ব্যাপারে সচেষ্ট রয়েছেন। উপজেলা প্রকৌশলী মো: ইউনুচ আলী প্রতিনিয়ত নির্মান কাজের তদারকি ও প্রয়োজনীয় সমস্যা গুলো সমাধানের আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিন নির্মান কাজের তদারক কারি এলজিইডির উজিরপুর অফিসের কার্য সহকারী মো: আনোয়ারুল ইসলাম ও মো: বেল্লাল হোসেন জানান বর্তমানে প্রতিদিন ৯০ থেকে ১’শ জন শ্রমিক কাজ করছেন তবে প্রতিদিন যদি কমপক্ষে ১৫০ জন শ্রমিক পাওয়া যেত তাহলে কাজের গতি আরও বৃদ্বি পেত।

এমবিইএল’র একাধিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন সরকার এখনো নদীর ২ পাড়ে সংযোগ সড়ক নির্মানের জন্য শতভাগ ভুমি একোয়ার করতে পারেনি,ফলে বিভিন্ন জটিলতার কারনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রীজ নির্মান কাজ সম্পুর্ন নাও হতে পারে। আর যত দ্রুত ব্রীজটি ও বরিশাল-গোপালগঞ্জ সড়ক নির্মান শেষ হবে ততোই বরিশাল অঞ্চলের মানুষের গোপালগঞ্জ, খুলনা,যশোর,নড়াইল সহ পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা গুলোতে যাতায়াতে কমসময় ও অর্থ সা¯্রয়ের কারনে এক মাইল ফলক দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হবে বৃহত্তর দক্ষিনাঞ্চলোর সকল শ্রেনী পেশার মানুষের।



মন্তব্য চালু নেই