ইরানকে মুক্তিপণ দেয়ার অভিযোগ নাকচ যুক্তরাষ্ট্রের

তেহরানে আটক পাঁচ মার্কিনীকে ছাড়িয়ে আনতে সম্প্রতি ইরানকে ৪শ মিলিয়ন ডলার দেয়া হয়েছে বলে বিরোধী রিপাবলিকানরা যে অভিযোগ করেছে বুধবার তা প্রত্যাখ্যান করেছে ওবামা প্রশাসন।

গত ১৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রে আটক কয়েকজন ইরানিকে ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে ওই পাঁচ মার্কিনীকে ছাড়িয়ে এনেছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এদের একজন হচ্ছেন প্রথম শ্রেণির মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্টার জাসন রেজাইন। তেহরানের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরই দু দেশের মধ্যে ওই বন্দি বিনিময়ের ঘটনাটি ঘটে।

নিষেধাজ্ঞা ওঠে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের জব্দ করা ৪শ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তেহরানকে ফেরত দেয়ার দাবি ওঠেছিল। ইরানে ইসলামি বিপ্লবের আগে ১৯৭৯ সালে সামরিক সরঞ্জামাদি কেনার জন্য মার্কিন সরকারকে ওই অর্থ দিয়েছিল তেহরান। পরে গত কয়েক দশক ধরে ওই অর্থ আটকে রাখে ওয়াশিংটন।

এখন রিপাবলিকান দলের কেউ কেউ বলছে, ওই পাঁচজনকে ছাড়িয়ে আনতে মুক্তিপণ হিসেবে ইরানকে ওই ৪শ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে ওবামা সরকার। এ নিয়ে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস কমিটির চেয়ারম্যান জাসন চাফেটস বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে একটি পত্র দিয়েছেন। ওই পত্রে মন্ত্রীকে এ সংক্রান্ত এক কমিটির শুনানিতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তারা একটি মালবাহী বিমানে করে ইরানকে ওই নগদ অর্থ পাঠিয়েছিল। বিমানটিতে ইউরো, সুইস ও ফরাসিসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রায় ৪শ মিলিয়ন পরিমাণ অর্থ ছিল। রিপোর্টার জাসন রেজাইনসহ পাঁচজনকে ছাড়িয়ে আনার জন্যই এই অর্থ দেয়া হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জোস আর্নেস্ট এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘ইরানে বেআইনিভাবে আটকে থাকা আমেরিকানদের মুক্তির জন্য প্রেসিডেন্ট ওবামা কর্তৃক শাসিত যুক্তরাষ্ট্র কোনো মুক্তিপণ দেয়নি।’ তিনি আরো বলেন, রিপাবলিকানরা শুরু থেকেই তেহরানের পরমাণু চুক্তির বিরোধিতা করে আসছিল। চুক্তি আটকাতে ব্যর্থ হওয়ার পর এখন তারা ইরানকে অর্থ দেয়ার এই অভিযোগ তুলেছে।

এর আগে আর্নেস্ট ১৯ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের আটককৃত ৪শ মিলিয়ন ডলার ফিরিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই