ইরাক সরকারের অনুরোধেই সেনা পাঠিয়েছে তুরস্ক
ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদির অনুরোধেই ২০১৪ সালে দেশটিতে সেনা পাঠিয়েছিল তুরস্ক। বুধবার আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোয়ান।
প্রধানমন্ত্রী আবাদির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন,‘২০১৪ সালে হায়দার আল আবাদির অনুরোধেই তুর্কি সেনারা বাশিকা শিবিরে অবস্থান করছে। এ নিয়ে এতদিন ধরে তিনি নিশ্চুপ ছিলেন কেন এখন আমি তা জানতে চাই।’
জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সম্প্রতি ভারি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত তুর্কি সেনারা মসুল পৌঁছুলে আপত্তি জানায় বাগদাদ। এ নিয়ে জাতিসংঘের কাছে অভিযোগ করারও হুমকি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী আবাদি। আঙ্কারা বলছে, ইরাকি সেনাদের প্রশিক্ষণ দিতেই মসুলে অবস্থান নিয়েছে তুর্কি সেনারা। কিন্তু বাগদাদ এ ঘটনাকে ‘আগ্রাসন’ হিসেবে দেখছে। তুর্কি সেনাদের সরিয়ে নিতে মঙ্গলবার ন্যাটোর কাছে জোটের সদস্যদের ওপর চাপ প্রয়োগ করারও দাবি জানিয়েছে ইরাক। মসুলে আর সেনা পাঠানো হবে না বলে নিশ্চিত করেছে আঙ্কারা। তবে মসুলে মোতায়েনকৃত সেনাদের সরিয়ে নিতে অস্বীকার করেছে তুরস্ক।
বুধবার আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইরাক ও সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক নীতি গ্রহণের অভিযোগ এনেছেন এরদোয়ান। তিনি শিয়া প্রভাবিত ইরাকি সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন,‘তারা কেবল শিয়া সম্প্রদায়কে নিয়েই উদ্বিগ্ন। সুন্নি, তুর্কি কিংবা সুন্নি কুর্দিদের নিরাপত্তা নিয়ে তাদের যেন কোনো মাথাব্যাথাই নেই। তাদের (ইরাক সরকার) আসলে নিরাপত্তা সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই।’
তিনি আরো বলেন, ইরাকের উত্তরাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই আঞ্চলিক সরকার থাকার কারণে জনগণ তাদের অধিকার হারিয়েছে। তাদের সেই অধিকার উদ্ধার করা প্রয়োজন। কিন্তু দু:খজনকভাবে ইরাকে কোনো ন্যায়ভিত্তিক শাসন দেখা যাচ্ছে না। যার কারণে সেখানকার জনগণ উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেছে বলেও দাবি করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
মন্তব্য চালু নেই