ইরাকে লড়াই করতে গিয়ে ভারতীয় নিহত
ইরাকে জঙ্গি গোষ্ঠি ইসলামি স্টেটের পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে এক ভারতীয় তরুণ প্রাণ হারিয়েছে। তার নাম আরিফ মাজেদ। তার বাড়ির মুম্বাইয়ের কল্যান এলাকায়। গত কয়েকদিন আগে মসুলে এক বোমা বিস্ফোরণে আরিফ নিহত হয়েছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার আরিফের এক সঙ্গীর পরিবারের কাছ থেকে তার নিহত হওয়ার খবর পেয়েছেন তার বাবা-মা। আরিফ হচ্ছে মুম্বাইয়ের চার তরুণের একজন যারা ইরাকে সুন্নি বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল।
মঙ্গলবার আরিফের সঙ্গী শাহিন তানকি তার পরিবারকে টেলিফোনে আরিফের নিহত হওয়ার খবর দেয় বলে তারা পুলিশকে জানিয়েছে। এ খবর পাওয়ার পর বুধবার স্থানীয় এক মসজিদে আরিফের গায়েবে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তার নিকটাত্মীয় এবং বন্ধুরা অংশ নিয়েছিল।
এ সম্পর্কে মহারাষ্ট্র রাজ্যের সন্ত্রাস বিরোধী স্কোয়াডের প্রধান হিমাংসু রায় বলছেন, গত মে মাসে মুম্বাইয়ের ওই চার তরুণ ইরাক থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। তারা আরিফের নিহত হওয়ার খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখবেন বলেও জানিয়েছেন হিমাংসু রায়।
8tb6yii8 {focus_keyword} ইরাকে লড়াই করতে গিয়ে ভারতীয় নিহত 8tb6yii8মুম্বাইয়ের নাভি প্রকোশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আরিফ মাজেদ, ফাহাদ শেখ, আমান টেন্ডেল এবং শাহিন তানকি গত ২৩ মে মাসে হজ্ব করার কথা বলে ইরাক গিয়েছিল। তারা আর দেশে ফিরে আসেনি। ওই চার তরুণ ইরাক ও সিরিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকারী জঙ্গি গোষ্ঠি ইসলামি স্টেটের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছিল।
নিজের পরিবারের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ ছিল না আরিফের। বাকি তিনজন অবশ্য তাদের বাবা-মায়েদের সঙ্গে টেলিফোনে কথাবার্তা বলত।
গত সোমবার আরিফের পরিবারের অনুরোধে শাহিনের পরিবার তাদের ছেলের কাছে আরিফের কুশল জানতে চায়। কিন্তু শাহিন এ বিষয়ে নিরব থাকে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সোয়া ছয়টার দিকে শাহিন নিজেই তার বাড়িতে ফোন করে এবং আরিফের মৃত্যুর খবর দেয়। তবে এ বিষয়ে আরিফের পরিবার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এদিকে আরিফের নিহত হওয়ার খবরে বাকি তিন তরুণের পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তাদের এখন একটাই কামনা, ছেলেরা যেন নিরাপদে বাড়িতে ফিরে আসে।
গত কয়েক দিন আগে সিরিয়ায় ইসলামি স্টেটের পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে এক মার্কিন যুবক নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল।
মন্তব্য চালু নেই