ইরাকের উত্তরে আবারো তুরস্কের বিমান হামলা
তুরস্কের নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, ইরাকের উত্তরে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন পিকেকের ঘাটি লক্ষ করে দ্বিতীয় পর্যায়ে বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটির বিমানবাহিনী।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও নেটো এ হামলাকে সমর্থন জানিয়েছে।তবে, তুরস্ককে সংখ্যালঘু কুর্দিদের সাথে শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাবার আহ্বান জানিয়েছে নেটো।
শুক্রবার ইরাকের যেসব স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল তুরস্ক, ওই একই এলাকায় পিকেকে’র ঘাটি লক্ষ্য করে দ্বিতীয় পর্যায়ের এই হামলা চালায় তুরস্ক।শুক্রবার পিকেকে এবং সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের অবস্থানগুলোর ওপর একাধিক বিমান হামলা চালায় তুরস্ক।
এদিকে, সন্ত্রাসবাদ দমনে তুরস্কের এই বিমান হামলার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং নেটো।তবে, একই সাথে সংখ্যালঘু কুর্দিদের সাথে দুবছরের যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটানো এই হামলা যেন পিকেকে’র সাথে শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাবার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে তুরস্ককে সে ব্যপারটি মাথায় রাখতে আহ্বান জানিয়েছে নেটো।
এদিকে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আঙ্কারার অনুরোধে মঙ্গলবার এক জরুরী বৈঠক আহ্বান করেছে নেটো।নেটো মহাসচিব জেনস ষ্টোলটেন বার্গ বলেছেন, বৈঠকটি তুরস্কের অনুরোধে ডাকা হয়েছে এবং নেটো চুক্তির ধারা অনুযায়ী, কোন সদস্য রাষ্ট্র তার ভৌগলিক সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়লে এমন অনুরোধ করতে পারেন।
তুরস্কের ওপর গত কিছুদিন ধরে এমন হামলা হচ্ছে, ফলে আমরা সে অনুরোধ রক্ষা করেছি। অন্যদিকে, পিকেকে’র একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, তুর্কি বোমারু বিমান সেখানকার ইরবিল ও দোহুকের উত্তরে হামলা চালায়।
এর আগে শনিবার, তুরস্কের উত্তর পূর্বে একটি সেনা বহরে গাড়ি বোমা হামলায় দুই জন নিহত এবং চারজন সেনাসদস্য আহত হয়। এজন্য আইএস এবং কুর্দিদের দায়ী বলে ধারণা করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই