ইরাকি সেনা ও সুন্নি বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে গৃহযুদ্ধে রূপ নিয়েছে,বিপদে বাংলাদেশীরা

যুদ্ধকবলিত ইরাকে বিপদে আছে বাংলাদেশীরা। দেশটির বেশ কিছু শহরে ইরাকি সেনা ও সুন্নি বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ এখন গৃহযুদ্ধে রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় ৩৫ হাজার এবং ভারতের ১০ হাজার অভিবাসী শ্রমিক ইরাকে অবস্থান করছে। তাদের বড় একটি অংশই সংঘর্ষ চলা এলাকাগুলোতে কাজে নিয়োজিত।

তারা এলাকা ছাড়তে চাইলেও গোলাগুলির কারণে পারছেন না। ইরাক প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকের বরাত দিয়ে শুক্রবার এ তথ্য দিয়েছে ইউএনবি। বাংলাদেশী শ্রমিকদের ব্যাপারে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শওকত হোসেন বলেন, সরকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। প্রয়োজনে ইরাক থেকে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এদিকে দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ইরাকে বন্দি ৪৬ ভারতীয় নার্স অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়েছেন। তারা অবিলম্বে দেশে ফিরবেন।

ইরাক প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিক শেখ বেলাল টেলিফোনে তার দুর্গতির কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, আমরা সরকারি বাহিনীকে যেমন ভয় পাই, তেমনি বিদ্রোহীদের নিয়েও আতঙ্কিত। যা কিছু নড়াচড়া করছে, তার ওপরই গুলি ছুড়ছে সেনাদের হেলিকপ্টার। আমরা যেতে চাই, কিন্তু পারছি না। বেলাল জানান, বুধবার তিকরিত শহরে ইরাকি সেনা ও সুন্নি জঙ্গিদের মধ্যে যখন সংঘর্ষ চলছিল, তখন গোলাগুলি থেকে রক্ষা পেতে তিনি এবং তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন বাংলাদেশী শ্রমিক একটি গুদামে গুটিসুটি মেরে লুকিয়ে ছিলেন।

এ সময় ইরাকে বাংলাদেশী দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা সংঘর্ষ থামলে উদ্ধার করা হবে বলে আশ্বাস দেন। পরে দূতাবাসের সহায়তায় তারা মুক্তি পান। বেলাল আক্ষেপ করে বলেন, এটি তাদের দুর্ভাগ্য। তারা সবাই ইরাকে শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে কাজ করতে চান।



মন্তব্য চালু নেই