ইন্টারনেটে শ্যালিকা ধর্ষণের ভিডিও

বকশীগঞ্জে স্নাতক (সম্মান) পড়ুয়া শ্যালিকাকে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ায় অভিযোগে দুলাভাইকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার গভীর রাতে উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের উজানপাড়া থেকে আটক করার পর সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অভিযুক্ত দুলাভাইয়ের নাম মাসুদুর রহমান ওরফে মাসুদ (৩৫)। তিনি বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের উজানপাড়া গ্রামের আওরঙ্গজেবের ছেলে।

পুলিশ সূত্রমতে, প্রায় ১০ বছর আগে মাসুদ পার্শ্ববর্তী এলাকা কামালপুরের এক মেয়েকে (২৭) বিয়ে করেন। এরপর স্ত্রীকে নিয়ে পৌর শহরের টিএন্ডটি রোড়ে নিজ বাসায় বসবাস করে আসছেন। কিছুদিন আগে মাসুদ তার স্ত্রীকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে অনার্স পড়ুয়া শ্যালিকাকে (২২) তার বাসায় সুকৌশলে ডেকে আনেন। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই সময় গোপনে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করেন। এর কিছুদিন পর শ্যালিকাকে ফের তার বাসায় আসতে বলেন। তাতে শ্যালিকা অপরাগতা প্রকাশ করলে দুলাভাই ক্ষুব্ধ হন। পরে ধর্ষণের ভিডিও চিত্রটি ইন্টারনেটসহ মোবাইল ফোনে এলাকার তরুণ-যুবকদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়।

এদিকে, অশ্লীল ওই ভিডিওটি সংগ্রহ করতে তরুণ-যুবকরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। অবশেষে রোববার রাতে মাসুদকে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ও মোবাইলসহ আটক করে।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাছিনুর রহমান জানান, শিক্ষার্থী নিজে বাদী হয়ে দুলাভাই মাসুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করেছেন। সোমবার আটক মাসুদকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই