ইতালিতে মসজিদ বন্ধ করায় নামাজ পড়ে প্রতিবাদ

ইতালিতে মসজিদ বন্ধ করে দেয়া এবং অন্য কোথাও নামাজ পড়তে না দেয়ায় ‘রোম কলিসিয়াম’র কাছে জুমার নামাজ আদায় করে প্রতিবাদ জানিয়েছে মুসলিমরা।

ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতার ওপর অবৈধ বিধিনিষেধের প্রতিবাদে শত শত মুসলিম এই প্রতিবাদী নামাজে অংশগ্রহণ করেন।

প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে পাঁচটি মসজিদ বন্ধ করে দেয়ার পর গত শুক্রবার ‘রোম কলিসিয়াম’র কাছে এই প্রতিবাদী জুমা আদায়ের ঘোষণা দেয় আয়োজক সংগঠন।

প্রাচীন ওই স্থাপনার কয়েক মিটার দূরে মুসল্লিরা মাদুর ও তেরপল বিছিয়ে নামাজ আদায় করেন। ওই সময় তাদের অনেকের হাতে ‘শান্তি’ এবং ‘মসজিদ খুলে দাও’ লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

অনেক ইতালীয় মুসলিমের সন্দেহ, ইউরোপে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সৃষ্ট অবিশ্বাসের আবহ থেকেই স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এসব মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে।

বাংলাদেশী গ্রুপ ‘ধূমকেতু’ এই কর্মসূচির আয়োজন করে। আয়োজকদের অভিযোগ, ভবন আইন লংঘনের অভিযোগ তুলে কর্তৃপক্ষ রোমে মুসলমানদের প্রার্থনার স্থানগুলোকে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

বিভিন্ন ইসলামী গ্রুপের সমন্বয়ক ধর্মান্তরিত মুসলিম ফ্রান্সিসকো তিয়েরি বলেন, ‘আমাদের দিকে যে অঙ্গুলি নির্দেশ করা হচ্ছে সেটা বুঝি। আমরা এখানকার এবং আমরা যে শান্তিপূর্ণ সম্প্রদায় তার স্বীকৃতি দেয়ার কোনো রাজনৈতিক ইচ্ছে (কর্তৃপক্ষের) নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে প্রার্থনার জায়গার জন্য অর্থ দিতে হয়। আর বিষয়টি (প্রার্থনা) আমাদের কাছে শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো যে, আমরা এটা করতে না পারলে আমরা মারা যাবো।’

এদিকে অভিবাসী বিরোধী নর্দান লিগ পার্টির নেতা বারবারা সল্টমার্টিনি জুমার প্রতিবাদী নামাজকে ‘অপ্রত্যাশি উস্কানি’ আখ্যা দিয়ে বলেন, রোমে এটা করতে দেয়া কখনোই উচিত হয়নি।

অন্যদিকে মসজিদ বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে পুলিশ বলেছে, কর্তৃপক্ষ চিন্তার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেবে, কিন্তু সেটা হবে আইনি কাঠামোর মধ্যেই।

ইতালিতে ইহুদি এবং মরমন ধর্মের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি থাকলেও ইসলাম ধর্মের সেটা নেই। এজন্য আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়া থেকে আসা মুসলিমরা এখানে ধর্ম ও বর্ণের দিক দিয়ে বৈষম্যের স্বীকার।



মন্তব্য চালু নেই