ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান পুতিনের
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর দেবালৎসেভে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধরত ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেনের সরকার ও রুশপন্থী বিদ্রোহীদের মধ্যে গত সপ্তাহে নতুন একটি অস্ত্রবিরতি চুক্তি সই হলেও দেবালৎসেভ শহর দখলে নিতে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার হাঙ্গেরির উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে মস্কোয় পুতিন বলেন, তিনি আশা করেন, অস্ত্রবিরতি চুক্তি দুই পক্ষই মেনে চলবে। নতুন চুক্তি সই হওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের তীব্রতা তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সামরিক উপায়ে সংকট সমাধান করা যাবে না উল্লেখ করেন পুতিন বলেন, ‘তিনি আশা করেন, সেনাবাহিনী তাদের অস্ত্র ফেলে দিয়ে বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করলে ইউক্রেনের সরকার তাতে বাধা দেবে না। যদি তারা (ইউক্রেন সরকার) ওই আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত দিতে সক্ষম না হয়, তাহলে যেসব লোক (বিদ্রোহীরা) নিজেদের ও অন্যদের জীবন বাঁচাতে চায়, তাদের পরবর্তী সময়ে বিচারের আওতায় আনতে পারবে না তারা।’
পুতিন আরো বলেন, ‘মিনস্কে আলোচনার সময় আমি অংশগ্রহণকারীদের সতর্ক করেছিলাম- অস্ত্রবিরতি চুক্তি হোক আর নাই হোক, সরকারি বাহিনী যখনই শহর দখলের চেষ্টা করবে, তখন বিদ্রোহীরা সেটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করবে। আর দেবালৎসেভে সেটাই ঘটছে এখন।’
দেবালৎসেভে সংঘর্ষে সেনা ও বিদ্রোহীসহ অর্ধশতাধিক লোক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক শ। রেল জংশনের জন্য বিখ্যাত শহরটির বেশির ভাগ এলাকা বিদ্রোহীদের দখলে। বেশ কিছু সেনাকে আটকও করা হয়েছে।
দেবালৎসেভে যুদ্ধ ‘গ্রহণযোগ্য ও প্রত্যাশিত’ বর্ণনা করে পুতিন আশা করেন, যেসব সেনা বিদ্রোহীদের হাতে আটক রয়েছেন, তারা নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। বিদ্রোহীরা এ ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
এদিকে, ইউক্রেন সংকট সমাধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একটি জরুরি বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছে।
তথ্যসূত্র : বিবিসি।
মন্তব্য চালু নেই