আসামে হামলা: গ্রেনেডের পরই গুলি শুরু

শুক্রবার বেলা ১১টা। উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যের কোকরাঝাড় এলাকা। কোকরাঝাড়ের বালাজান বাজার এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। ঠিক ওই সময় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে হামলাকারীরা। আর গ্রেনেড বিস্ফোরণের পরই শুরু হয় গুলিবর্ষণ।

গুলিবর্ষণের ঘটনায় ১৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ২০ জন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী।

প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলিবিনিময় হয়। নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, এক জঙ্গি নিহত হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি একে ৪৭ রাইফেল। তবে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর কেউ নিহত হয়েছেন কি না তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি।

কোকরাঝাড়ের পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত জঙ্গি ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অব বোরোল্যান্ড (এনডিএফডি-সংবিজিত) গোষ্ঠীর সদস্য। তবে কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর তরফে এই হামলার দায় এখনো স্বীকার করা হয়নি।

এদিকে সূত্রের খবর, বড় জঙ্গি সংগঠনের এক কমান্ডারের বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ) অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয় জঙ্গিরা। সেই হুমকির জেরেই এই হামলা কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনায় এলাকা এরই মধ্যে পাঠানো হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী। ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল।



মন্তব্য চালু নেই