সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই মহাপ্রলয়ে তছনছ হবে যুক্তরাষ্ট্র !

হাতে সময় আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। ২৮ মে রাক্ষুসে ভূমিকম্পে তছনছ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানের ভিত্তিতে মহাতাণ্ডবের এমন পূর্বাভাসে সরগরম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

২৮ মে আসছে মহাপ্রলয়। সৌরমণ্ডলের সম্ভাব্য গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান বিচার করে জানা গেছে, নেপালে সদ্য ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি তাণ্ডবে ধ্বংস হতে পারে লস এঞ্জেলেস ও সান ফ্রান্সিসকোর বেশ কিছু এলাকায়। ধারণা করা হচ্ছে, রিখটার স্কেলে সম্ভাব্য কম্পনের মাত্রা ৯.৮ ছুঁতে পারে। যা নেপালের চেয়ে ২ পয়েন্ট বেশি। এমনটাই দাবি করছে ইউটিউবে প্রকাশিত একটি ভিডিও। থ্রি-ডি ভিডিওটি তৈরি করেছে ডাইট্রায়ানাম মিডিয়া নামের সংস্থা। এটির নেপথ্য কণ্ঠ নেদারল্যান্ডসের বাসিন্দা জনৈক ফ্র্যাঙ্কের। ভিডিওতে দেখা গেছে, ২৮ মে সৌরমণ্ডলের একাধিক গ্রহ-নক্ষত্র-উপগ্রহ সমান্তরাল রেখায় অবস্থান করবে।

ফ্র্যাঙ্কের দাবি, এর জেরে ওই দিন বিকেল চারটা নাগাদ প্রচণ্ড কম্পনে ছারখার হবে আমেরিকার একাংশ। তিনি জানিয়েছেন, গত এপ্রিল মাসে নেপালের প্রবল ভূমিকম্পের আগেও এভাবেই সবাইকে সতর্ক করেছিলেন।

কীভাবে প্রলয়ের আগাম বার্তা পেয়ে যান ফ্র্যাঙ্ক?
তার দাবি, বিদেহী আত্মারা তার কাছে সর্বনাশের পূর্বাভাস করে। তিনি জানান, ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে প্রথম প্রকৃতির ধ্বংসলীলার আগাম খবর পান তিনি। এবং তা মিলেও যায়। ইউটিউবের ভিডিও তিনি বলেন, ২৮ মে পৃথিবীর ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি জানিয়েছেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খবর। ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হলে লস এঞ্জেলেস সমুদ্রগর্ভে যাবে। জাপানে আছড়ে পড়বে দৈত্যাকৃতির সুনামি।’ সেই সঙ্গে তিনি জানান, ‘আমার কথা ভুল প্রমাণিত হলে সবচেয়ে খুশি হব।’

এই বিষয়ে কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?
মহাকাশ বিজ্ঞানী ফিল প্লেইটের বক্তব্য, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখলাম ২৮ মে সৌরমণ্ডলে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান ও তার জেরে ৯.৮ মাত্রার ভূমিকম্প নিয়ে জোর আলোচনা চলেছে। প্রথমেই জানিয়ে দিই, এমন কিছু হবে না, হতে পারে না। এটাও জানাচ্ছি, গ্রহ-নক্ষত্রের সমান্তরাল রেখায় চলে আসার এমন কোনও সম্ভাবনা নেই। অন্তত পৃথিবীর সঙ্গে অন্য কোনও গ্রহ-নক্ষত্র-উপগ্রহ একই রেখায় অবস্থান করার কোনও সম্ভাবনা সেদিন নেই। এসবই বাজে কথা।’



মন্তব্য চালু নেই