আর পরোয়া করি না: ট্রাম্প

হিলারি ক্লিনটন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তিগত সার্ভারে রাষ্ট্রীয় ইমেইল চালাচালির বিষয়টি নিয়ে আর ভাবছেন না বলে জানিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিছুদিন আগেও তিনি বলেছিলেন, এ জন্য হিলারিকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। তবে কদিন যেতে না যেতেই আবার অবস্থান পাল্টেছেন তিনি।

হিলারিকে এর মধ্যেই দুই দফায় তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়েছে। দুই দফাই তাকে নির্দোষ বলেছে এফবিআই। সবশেষ গত ৮ নভেম্বরের ভোটের আগে আগে তদন্ত শেষে এই কথা জানায় সংস্থাটি। যদিও নির্বাচনে হেরে ভোটের প্রচার চলাকালে এফবিআইএর এই তদন্তকে পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন হিলারি।

বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এরপরই থেমে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু থামছেন না মূলত ট্রাম্পের কারণে। প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে হিলারির উপস্থিতিতেই তিনি একবার বলেছিলে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে হিলারির ইমেইল কেলেঙ্কারির আবার তদন্ত করাবেন তিনি। এবং তদন্তে দোষী প্রমাণ হলে হিলারিকে অবশ্যই কারাগারে যেতে হবে।

তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্প সেই অবস্থান থেকে সরে এসে জানান, হিলারির বিরুদ্ধে তদন্তের পরিকল্পনা থেকে তিনি সরে এসেছেন। কোনো একটি অবস্থানে স্থির থাকতে না পারা ট্রাম্প কিছুদিন পরই আবার অবস্থান পাল্টে বলেন, ইমেইল চালাচালি নিয়ে হিলারিকে বিচারের মুখোমুখি করবেন তিনি।

তবে স্থানীয় সময় শুক্রবার সে অবস্থান থেকে আবার সরে আসেন ট্রাম্প। নির্বাচনে জয় উদযাপনে মিশিগান রাজ্যে আয়োজিত সমাবেশে তিনি বলেন, হিলারির বিষয়টি নিয়ে তিনি পরোয়া করেন না। তবে এই সমাবেশে স্রোতারা ‘লক হার আপ (তারে জেলে ভরো)’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

এই সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, হিলারির ইমেইল চালাচালির বিষয়টি নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেললেও তিনি এখন আর এ নিয়ে ভাবছেন না।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচার চলাকালে ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে হিলারিকে নিয়ে ‘লক হার আপ’ স্লোগানকে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।



মন্তব্য চালু নেই