‘আমার ১৬ বছরের বোনকে ৭ জন মিলে বিয়ে করে’

জঙ্গি সংগঠন আইএস কতটা নৃশংস, তা বিশ্বের অজানা নয়। ধর্মের অছিলায় নারীদেরও প্রতিও তারা কতটা নির্মম, তা বোঝা যায় এই ঘটনায়।

তাঁর বোনের সঙ্গে আইএস কী ধরনের অত্যাচার করেছে, কুর্দিস্তান রিজিওনাল গভর্নমেন্ট বাহিনীর জেরার মুখে নিজেই স্বীকার করেছে প্রাক্তন আইএস জঙ্গি।

তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ‘তুমি তোমার স্ত্রীর সঙ্গে কী রকম আচরণ করো?’ উত্তরে ধৃত জঙ্গি বলছে, ‘আমার স্ত্রী পুরো শরীরই ঢেকে রাখে। আমার সঙ্গে ছাড়া বাইরে যায় না।’

এরপরই সে জানায়, কুর্দিশ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের সময় সে তার স্ত্রীকে ইরাকের হাওয়াইজা শহরে ফেলে আসে। তার ধারণা ছিল, শরিয়্ত আইনে হয়তো তার স্ত্রী অন্য কাউকে বিয়ে করেছে।

এর পরের প্রশ্নে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আইএস-এর ডেরায় নারীদের ঠিক কী চোখে দেখা হয়। সে বলে, ‘নারীর জন্মই হয় বিয়ে করার জন্য ও সন্তান উত্‍‌পাদনের জন্য।

জেহাদে মানবিকতা বলে কিছু নেই। সেখানে মহিলাদের শুধু শরীরটাই টিকে থাকে, ‘প্রাণ’টা থাকে না।’ আরও যা যা সে বলে, তাতে একটা বিষয় পরিস্কার হয়ে যায়, আইএস জঙ্গিদের কাছে নারীরা স্রেফ একটা পণ্য।

ধৃত জঙ্গির কথায়, আইএস সিনজার দখল নেওয়ার আগে এক বছর ষোলোর ইয়েজিদি নারীর বিয়ে হয় আমারই এক বন্ধুর সঙ্গে। খুব বড় পরিবারে বিয়ে হয়েছিল। খুবই ধনী। বিয়ের পার্টি চলছে। হঠাত্‍‌ আইএস হামলায় সব তছনছ হয়ে গেল।

২০১৪ সালের অগাস্টে ওই নারীকে অপহরণ করে আইএস।’ ওই মহিলার ভাইয়ের কথায়, ‘আমার ১৬ বছরের বোনকে ৭ জন মিলে বিয়ে করে।

উদ্ধার হওয়ার পর ওই নারীর কাতর মন্তব্য ছিল, ওরা আমাদের অত্যাচার করতে পারে, কিন্তু আমাদের মনটা কোনও দিনই পেতে পারেনি। ওরা সত্যিই জঙ্গি।



মন্তব্য চালু নেই