‘আমাকে খুন্তির ছ্যাঁকা দেয়নি, মানুষের পরামর্শে মামলা’

গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তার স্ত্রীর পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন ভিকটিম হ্যাপি।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক তানজিলা ইসমাইলের আদালতে ভিকটিম এ সাক্ষ্য দেন।

সাক্ষ্য-তে ভিকটিম বলে, ‘আসামিরা আমাকে কোনো রকম খুন্তির ছ্যাঁকা দেননি। আগে মানুষের পরামর্শে এই মামলা করি।’

পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাকে বৈরি সাক্ষ্য হিসাবে ঘোষণা দিয়েছেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আগামী ৩১ আগস্ট এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন।

এদিন শাহাদাত ও তার স্ত্রী নিত্য আদালতে হাজির ছিলেন।

গত ১৭ আগস্ট ঢাকার মহানগর হাকিম স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তিনি বলেছেন, হ্যাপি তার কাছে ২২ ধারায় নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন।

জবানবন্দিতে হ্যাপি বলে, ‘আমি ক্রিকেটার শাহাদাতের বাসায় প্রায় এক বছর যাবত কাজ করি। আমাকে ২০০০ টাকা বেতন দিত। আমি বাসার সব কাজ করতাম। আমার কাজে কোন ভুল হলেই শাহাদাত আর তার বৌ আমাকে মারত। একজন পা দিয়ে আমাকে পাড়া দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত, অন্যজন মারত। সারা শরীরে মারত। লাঠি দিয়ে মারত। আমার পাছায় বেশি মারত। আবার মারার জায়গায় বরফ দিয়ে ধরে রাখতো সারা রাত। আমি বরফ সরালে তারা আবার পিটাত।আমার বরফ ধরে রাখতে কষ্ট হত। প্রায়ই শাহাদাত হোসেন আমার গলা টিপে ধরত। আমার শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে আমি শ্বাস নিতাম। তখন আমাকে আরও মারতো। তার বৌ মাঝে মাঝে আমার গলা টিপে ধরেছে। আমাকে ডাল ঘুটনী দিয়ে মারতে মারতে চার/পাঁচটি ডাল ঘুটনী ভেঙ্গে ফেলেছে। আমাকে ভাতের চামচ দিয়ে মারতো। ভাতের চামচ অনেক মেরে ভেঙ্গেছে। রুটি বানানোর বেলন দিয়ে মারত। আমি ওটা লুকিয়ে রেখেছিলাম বলে ওরা আরও একটি বেলন কিনে আনছে। শাহাদাত হোসেনের বৌ কাঠের খুন্তিতে গরম তেল নিয়ে আমার হাটুতে ছ্যাঁকা দেয়।’



মন্তব্য চালু নেই