আন্তর্জাতিক টেনিসে খ্যাত সানিয়া মির্জা রাজদূতে আপত্তি বিজেপি’র

ভারতের তেলেঙ্গানার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর পদে সানিয়া মির্জাকে নিয়োগের বিরোধিতা করে বিতর্ক উস্কে দিলেন বিজেপি সাংসদ কে লক্ষ্মণ৷ তার দাবি, ‘২০১০ সালে পাক ক্রিকেটার শোয়েব মালিককে বিয়ে করার পর তিনি পাকিস্তানের পুত্রবধূ৷ তাই তেলেঙ্গানার দূত হতে পারেন না তিনি৷’ এমনকী এই মন্তব্য করে কোনো ভুল করেননি বলেও সুর চড়ান লক্ষ্মণ৷ এর জন্য ক্ষমা চাইবেন না বলেও সাফ জবাব তার৷

তিনি আরও বলেন, সানিয়ার জন্ম হয় মহারাষ্ট্রে৷ পড়ে তার পরিবার হায়দরাবাদে চলে আসে৷ তাই কোনোভাবেই তিনি হায়দরাবাদের স্থানীয় বাসিন্দা নন৷ এমনকী তেলেঙ্গানা আন্দোলনেও কোনো ভূমিকা ছিল না ২৭ বছরের এই টেনিস তারকার৷ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট পেতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবগঠিত তেলেঙ্গানা সরকার৷

কেন তাকে হায়দরাবাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা হলো তেলেঙ্গানা সরকারকে তার জবাব দিতে হবে বলেও সুর চড়ান তিনি৷ তার অভিযোগ, দুমুখো নীতি নিচ্ছে সরকার৷ক্রিকেট তারকা ভিভিএস লক্ষ্মণকে কেন এই পদের জন্য মনোনীত করা হল না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন লক্ষ্মণ৷

এদিন তার এই বিতর্কিত মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে৷ এই মন্তব্যকে ‘উদ্ভট’ বলে তোপ দাগে বিরোধী কংগ্রেস৷ উল্লেখ্য, মঙ্গলবার তেলেঙ্গানার ব্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে টেনিস তারকা সানিয়া মির্জাকে নিয়োগ করে তেলেঙ্গানা সরকার৷ এদিন তার হাতে নিয়োগ পত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও৷ পাশাপাশি এক কোটি রুপির চেকও তুলে দেওয়া হয়৷ এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সানিয়ার জন্য গর্বিত তেলেঙ্গানা৷ তিনি প্রকৃতই একজন হায়দরাবাদী৷ আন্তর্জাতিক টেনিসে পাঁচ নম্বরে আছেন তিনি৷ আমরা প্রার্থনা করি খুব শিগগিরই সানিয়া এক নম্বরে উঠে আসবেন৷ভবিষ্যতে বিশ্ব দরবারে তেলেঙ্গানাকে তুলে ধরবেন তিনি৷’

এদিকে বিজেপি নেতার আনা পাক-পুত্রবধূর’ তকমায় মর্মাহত সানিয়া মার্জি৷তিনি বলেন, ‘আমি ভারতীয় ছিলাম৷জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ভারতীয়ই থাকব৷



মন্তব্য চালু নেই