আজকাল তাও দেখতে হয় “বোরখা পরে প্রেম”
আজ, এখন থেকে বেশ অনেক সময় পিছনে চলে যায়, যখন সমাজে নারী পুরুষের মেলামেশাটা কল্পনাই করা যেত না। আর প্রেম, ভালবাসা শব্দগুলোর প্রচলন থাকলেও খোলামেলা তেমন কোন বহি:প্রকাশ ছিলনা। যা হত চুপিচাপি, আগে প্রেমপত্র থাকলেও তার আদান প্রদান ডাকযোগ ব্যতিত সরাসরি সম্ভব হলেও তার ক্ষেত্রে বিশেষ সর্তকতা ছিল। কারও হাতে ধরা পড়ার ভয়ে, মান-সম্মান, বাবা-মা এর কড়া শাষন, সামাজিক, পারিবারিক, ধর্মিয় অনুভূতি সবকিছু সর্তকতার সাথে পর্যবেক্ষন করেই তবে যা একটু আধটু প্রেম প্রেম চলত। তাই বলে কি প্রেম – ভালবাসা নিরামিষ ছিল ? তা বোধ হয় ছিলনা, তবে ব্যকুল দুটি হৃদয়ের ব্যকুলতার আকুতির বাস্তবের ছোয়ায় ঘাটতি ছিল এটা বলা যায়।
এখন বর্তমান সময়ের প্রসঙ্গে আসি, বেশ খোলামেলা মেলামেশা, ছেলে মেয়ে যে কেউ মিশতে পারে, চলতে পারে, ঘোরাঘুরি, একসাথে পার্টি, কনসার্ট সবকিছুতেই এটেন্ড করতে পারে। কোন বাধা নেই, সমাজের বড় বড় পান্ডিত্য চোখ গুলোও আগের মত করে তাকায়না। তাই সমাজের সকলের চোখের উপর দিয়ে চলে এমন মেলামেশা। খারাপ তো কিছু নয় ছেলে মেয়ে প্রেম-ভালবাসা। যুগের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী, আমরা কেন পিছিয়ে থাকব ? ভালই তো এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের যুগলেরা। সবচেয়ে মজা পাই যখন দেখি, পার্কে, ময়দানে, অথবা কোন ছাদের নীচে বসে ‘বোরখা’ পরিহিতা কোন মেয়ে তার মন-প্রাণের মানুষের হাত ধরে প্রেম নিবেদন করছে। সমস্ত প্রতিকুলতা, কুলক্ষ থেকে নিজেকে পুরো ঢেকে তার প্রেমিকার সাথে পেমালাপ, সময় ক্ষেপন। যেন অতীত ও বর্তমানের অপূর্ব সম্লিলন।
একদিকে বোরখা পড়ে সামাজিক বাধা, পারিবারিক কঠোর শাষন, সবকিছু মেনে চলা, আর অন্যদিকে প্রেমের গন্ডি পেরুনো। তাই এখন আর খুব বেশী আশ্চর্য হইনা যখন দেখি পার্কে, সিনেমায়, খাবারের দোকানে বা কোন নিরিবিলি স্থানে বোরখা পড়া প্রেমিকাকে ভালবাসর আলিঙ্গনে জড়িয়ে প্রেমিক মশাই প্রেমের সাগরে ডুব দিয়ে থাকে, তখন অতীত-বর্তমানযোগে যুগের হাওয়ায় পরিবর্তনকেই দেখতে থাকি।
সম্পাদনায় : আবু রায়হান মিকাঈল
মন্তব্য চালু নেই