আগামী বছর হজে সরকারি প্যাকেজ হবে একটি

আগামী বছর হজে সরকারিভাবে ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরির পৃথক কোনো প্যাকেজ থাকছে না। ধর্ম মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালের হজে একটি মাত্র প্যাকেজে হজযাত্রী পাঠানোর জোর চিন্তাভাবনা করছে। গত বছরের হজ পালনের অভিজ্ঞতা, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ (হাব) সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের সুপারিশ ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়।

সরকারিভাবে একটি প্যাকেজ ঘোষণাসহ অন্যান্য সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে সুচিন্তিত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. হাফিজ উদ্দিনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে হাব নেতারাসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনে কমিটি আরও দু-চারজন কো-অপট করতে পারবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুল জলিল রোববার সন্ধ্যায় এ ধরনের উদ্যোগ নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, পৃথক দুটি প্যাকেজের পরিবর্তে সরকারিভাবে একটি প্যাকেজ ঘোষণার চিন্তাভাবনা চলছে। এ লক্ষ্যে কমিটিও গঠিত হয়েছে। কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

২০১৬ সালে ধর্ম মন্ত্রণালয় সরকারিভাবে ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরির হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে। ‘এ’ ক্যাটাগরির ৩ লাখ ৬০ হাজার ২৮ টাকার প্যাকেজে সৌদি আরবের ভিসা, বিমানে যাওয়া-আসা, মক্কায় কাবা শরিফ থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ২০০ মিটার ও মদিনায় মসজিদে নববী থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ মিটারের মধ্যে তাসরিয়াযুক্ত (সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের যাচাই করা বাসস্থান) বাসায় থাকার ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়।

‘বি’ ক্যাটাগরির ৩ লাখ ৪ হাজার ৯০৩ টাকার প্যাকেজে সৌদি আরবের ভিসা, বিমানে যাওয়া-আসা, মক্কায় কাবা শরিফ থেকে সর্বোচ্চ দুই কিলোমিটার ও মদিনায় মসজিদে নববী থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ মিটারের মধ্যে তাসরিয়াযুক্ত বাড়িতে আবাসন খরচ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ ছাড়া কুরবানির জন্য প্রতিটি প্যাকেজে আরও খরচ হবে (৫০০ রিয়াল) সাড়ে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়।

একটি মাত্র প্যাকেজ ঘোষণার নেপথ্যে কারণ জানতে চাইলে ধর্ম সচিব মো. আবদুল জলিল বলেন, ‘এ’ ও ‘বি’ দুই ক্যাটাগরির হজ প্যাকেজের টাকার পার্থক্য প্রায় ৪০ হাজার। তিনি বলেন, মূলত কাবা শরীফের কাছাকাছি বাড়ি ভাড়া করার জন্য দুটি প্যাকেজ করা হয়।

কিন্তু কাবা শরীফের সংস্কারজনিত কারণে শুধুমাত্র মক্কা সংলগ্ন পাঁচ তারকা হোটেল ছাড়া কাছাকাছি যে বাড়ি ভাড়া পাওয়া যায় তা অনেক পুরোনো ও তেমন উন্নত নয়। ফলে এ প্যাকেজের আওতায় যে সকল হাজি গিয়েছেন তারা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। অন্যদিকে বি ক্যাটাগরির প্যাকেজে যারা গিয়েছেন তারা দুরবর্তী স্থানে অবস্থান করলেও তাদের ভাড়া বাড়ির মান উন্নত ছিল। এ সব বিবেচনায় একটি প্যাকেজ ঘোষণার জোর চিন্তাভাবনা চলছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। জাগো নিউজ।



মন্তব্য চালু নেই