‘আকাশবাণী মৈত্রী’ ভারত ও বাংলাদেশের মানুষ উপকৃত হবে : প্রণব মুখার্জি

‘আকাশবাণী মৈত্রী’ রেডিও বাংলাদেশ-ভারতের মানুষের সম্পর্ক উন্নয়নে ভুমিকা রাখবে উল্লেখ করে ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখাজি বলেছেন, এই রেডিও’র মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশ ও ভারতের শ্রেতারাই নয়, সারাবিশ্বের বাংলা ভাষার মানুষরা এটা শুনতে পারবে।’

সোমবার বিকেলে কলকাতার রাজভবনে দু’দেশের শ্রোতাদের জন্য ‘আকাশবাণী মৈত্রী’ রেডিও’র উদ্বোধনের পর তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সব সময়ই ইতিহাস-ঐতিয্য ও সংস্কৃতির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ‘আকাশবাণী মৈত্রী’ রেডিও মাধ্যমে এগুলো আরো সমৃদ্ধ হবে। এটির মাধ্যমে উপমহাদেশে ও এর বাইরেও আকাশবাণী রেডিও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

ভারতের সরকারি বেতার বার্তা সংস্থা ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’ (এআইআর)। দীর্ঘ ছয় বছর পর ‘আকাশবাণী মৈত্রী’ নামে নতুন মোড়কে এই রেডিওটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হল।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে অল ইন্ডিয়া রেডিও মারফত প্রথম বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের মন্ত্র প্রচার করা হয়েছিল। সরাসরি ময়দানে উপস্থিত না হয়েও যুদ্ধে অংশ নেওয়া লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বাড়িয়ে তুলেছিল ভারতের এই সরকারি বেতার বার্তা। কিন্তু ২০১০ সাল থেকে সেই বেতার বার্তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ২৮ জুন কলকাতার রবীন্দ্রসদনে ওই অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক সূচনা করার কথা থাকলেও সূচনার ঠিক আগের মুহুর্তে অনিবার্য কারণে তা বাতিল করা হয়।

আগের সাড়ে ছয় ঘন্টার পরিবর্তে নতুন এই ব্যবস্থায় দিনে ১৬ ঘন্টা সেবা দেবে ‘আকাশবাণী মৈত্রী’। এলক্ষ্যে কলকাতার কাছেই চুঁচুড়াতে ১০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ট্রান্সমিটারও বসানো হয়েছে।

১৯৩০ সালে পথচলা শুরু এই ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’এর। পরে ১৯৫৬ সাল থেকে আকাশবাণী নামে পরিচিত হতে থাকে সকলের মধ্যে। বিশ্বের বৃহৎ রেডিও নেটওয়ার্কের মধ্যে একটি হল ভারতের এই সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর সারা দেশে এআইআর’এর ছয়টি স্টেশন ছিল, যার মধ্যে অন্যতম ছিল কলকাতা।



মন্তব্য চালু নেই